কর ফাঁকির জন্য তৈরি ভুয়ো সংস্থা চিহ্নিত করতে আরও কঠোর হচ্ছে আয়কর দফতর। সেই লক্ষ্যে শুক্রবার ২০১৯-২০ হিসেববর্ষের (অ্যাসেসমেন্ট ইয়ার) জন্য আনা আয়কর রিটার্নের ফর্মে বেশ কিছু বদল করল তারা।
আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বছরে বেতন, সুদ, বাড়ি থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ও কৃষি থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় হলে জমা দিতে হবে আইটিআর-১ (সহজ) ফর্ম। আইটিআর-৪ বা সুগম লাগবে ব্যবসা বা পেশা থেকে বছরে সম্ভাব্য রোজগার ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হলে। তবে এ বার থেকে বাজারে নথিভুক্ত ও নথিভুক্ত নয় এমন সংস্থার ডিরেক্টর হলে আইটিআর-২ জমা দিতে হবে। লাগবে লগ্নি সম্পর্কে বাড়তি তথ্য। একই নিয়ম অনথিভুক্ত সংস্থায় লগ্নি থাকলেও। এই দুই ক্ষেত্রেই সহজ বা সুগম ফর্ম জমা করা যাবে না।
এর আগে ভুয়ো সংস্থা ধরতে ও কর ফাঁকি রুখতে প্রায় তিন লক্ষ সংস্থা ও তাদের ডিরেক্টরদের নথিভুক্তি বাতিল করেছে কেন্দ্র। এমনকি সংস্থার বিরুদ্ধে টাকা নয়ছয়ের প্রমাণ মিললে তদন্তের কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আয়কর ফর্মের এই সিদ্ধান্ত সেই পথেই আরও একধাপ এগোনোর ইঙ্গিত। যার উদ্দেশ্যই হল, নামকাওয়াস্তে ডিরেক্টর বসিয়ে রেখে ঘুরপথে কালো টাকা লেনদেন বন্ধ করা।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আজ বিজ্ঞপ্তিতে আয়কর দফতর জানিয়েছে, ডিরেক্টরদের আয়কর রিটার্নের ফর্মে ডিরেক্টর আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (ডিন), প্যান, সংস্থায় অংশীদারি সম্পর্কে সবিস্তার তথ্য জানাতে হবে। ঠিক সে ভাবেই লগ্নিকারীদের দিতে হবে গত এক বছরে কোন দিনে শেয়ার কেনা হয়েছিল, সেই সময়ে তার দাম কত ছিল, বিক্রির দিন ও তখনকার দাম-সহ নানা তথ্য। এ ছাড়া রিটার্নের অন্যান্য ফর্মেও শুক্রবার বদল আনার কথা জানিয়েছে আয়কর দফতর। নতুন উদ্যোগগুলির (স্টার্ট-আপ) জন্য আলাদা জায়গা রাখা হয়েছে।