প্রধানমন্ত্রী পদে দ্বিতীয় বার শপথের মুখে নরেন্দ্র মোদীর জন্য ভাল খবরের তোড়া হাতে দাঁড়িয়ে নেই দেশের অর্থনীতি। বরং দশা এতটাই বেহাল যে, তাকে চাঙ্গা করতে অবিলম্বে ত্রাণ প্রকল্প ঘোষণা করা জরুরি বলে সওয়াল করল বণিকসভা ফিকি।
ডিসেম্বরে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছিল ৬.৬%। সোমবার স্টেট ব্যাঙ্কের প্রকাশিত পূর্বাভাস অনুযায়ী, গত অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার দাঁড়াতে পারে ৫.৯ থেকে ৬.১%। ফলে পুরো আর্থিক বছরের বৃদ্ধি নামতে পারে ৭ শতাংশের নীচে। একই ধরনের পূর্বাভাস দিয়েছে ইন্ডিয়া রেটিংসও।
ফিকি জানিয়েছে, এখন দেশে শুধু যে রফতানি ধাক্কা খেয়েছে কিংবা বিনিয়োগ না থাকার কারণে বৃদ্ধির হার ঢিমে হয়েছে, এমন নয়। চাহিদাতেও ভাটা রয়েছে। ফলে সবার আগে সেই চাহিদাকে চাঙ্গা করতে ত্রাণ প্রকল্পের পক্ষে সওয়াল করেছে বণিকসভাটি। দাবি জানিয়েছে, ব্যক্তিগত আয়কর এবং কর্পোরেট কর ছাঁটাই করার। একই সঙ্গে, ছোট চাষিদের ৬,০০০ টাকা দেওয়ার যে প্রকল্প কেন্দ্র চালু করেছে, তাকে আরও বিস্তৃত করারও আর্জি জানিয়েছে তারা।
সম্প্রতি একই ধরনের সতর্কতার কথা বলেছে আর এক বণিকসভা সিআইআই-ও। তাদের দাবি, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে করের বোঝা কমাক কেন্দ্র।
প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য রথীন রায় সম্প্রতি বলেছেন, দেশের অর্থনীতি এত দিন দৌড়েছে মূলত আয়ের নিরিখে একেবারে উপরে থাকা ১০ শতাংশের চাহিদার উপরে ভর করে। কিন্তু আগামী দিনে তা আর বেশি বাড়ার সম্ভাবনা কম। এখন চাহিদায় ভাটার এই আশঙ্কার কথা বলছে বণিকসভাগুলিও। সমস্যা আঁচ করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১০০ দিনের পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই ছকেছে কেন্দ্র।