দাওয়াইয়ের খোঁজ এ বার পরিকাঠামোয়

বৃদ্ধির চাকায় গতি ফেরাতে পরিকাঠামো ক্ষেত্রের গুরুত্বের কথা বার বার বলে কেন্দ্র। তার কথা উঠে আসে কাজের সুযোগ তৈরির প্রসঙ্গেও।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:২৪
Share:

আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ভারতকে ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করার স্বপ্ন ফেরি করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

অর্থনীতির অসুখ সারানোর দাওয়াইয়ের খোঁজে এ বার পরিকাঠামো ক্ষেত্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

Advertisement

বৃদ্ধির চাকায় গতি ফেরাতে এই ক্ষেত্রের গুরুত্বের কথা বার বার বলে কেন্দ্র। তার কথা উঠে আসে কাজের সুযোগ তৈরির প্রসঙ্গেও। তাই দেশের অর্থনীতির কার্যত দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া এই অবস্থায় পরিকাঠামো শিল্প কোথায়-কোথায় সমস্যার মুখে পড়ছে, মূলত তা বুঝতেই বুধবার তার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসেন অর্থমন্ত্রী। ঠিক যে ভাবে এর আগে শিল্প, ব্যাঙ্কিং পরিষেবা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন তিনি।

আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ভারতকে ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করার স্বপ্ন ফেরি করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যার অন্যতম শর্ত পরিকাঠামোয় বিপুল লগ্নি। খোদ প্রধানমন্ত্রীই বলেছেন যে, আধুনিক পরিকাঠামো নির্মাণে ১০০ লক্ষ কোটি টাকা লগ্নি করবে সরকার।

Advertisement

আলোচনা: পরিকাঠামো ও নির্মাণ শিল্পের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। রয়েছেন
অর্থসচিব রাজীব কুমার এবং নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত (ডান দিকে)। বুধবার নর্থ ব্লকে। ছবি: পিটিআই

অর্থনীতিবিদদের বড় অংশও মনে করেন, বৃদ্ধির গতি ফেরাতে অন্যতম অস্ত্র হতে পারে পরিকাঠামোয় বিপুল লগ্নি। কারণ, দেশে রাস্তা, সেতু, বন্দর, বিমানবন্দর ইত্যাদি তৈরি হলে, তার হাত ধরে ইস্পাত, সিমেন্ট-সহ বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা বাড়ে। অর্থনীতিতে সৃষ্টি হয় স্থায়ী সম্পদ। একই সঙ্গে তৈরি হয় কাজের সুযোগ। যার হাত ধরে আবার চাহিদা বাড়ে বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের। গতি বাড়ে অর্থনীতির চাকায়।

ফলে সে দিক থেকে পরিকাঠামোয় সরকারি লগ্নি স্বাগত। বিশেষত যখন চাহিদার ভাটায় ধুঁকছে অর্থনীতি। কিন্তু প্রশ্ন হল, রাজকোষ ঘাটতিকে লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে বেঁধে রেখে ওই বিপুল বিনিয়োগ কেন্দ্র জোগাড় করবে কোথা থেকে? দেশে বেসরকারি লগ্নির দেখা কার্যত নেই। তাহলে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে সামিল হতেই বা এগিয়ে আসবে কারা?

তার উপরে এ দিন বৈঠকে নিজেদের সমস্যা তুলে ধরেছে পরিকাঠামো শিল্প মহল। কোথাও প্রকল্প কার্যকর করতে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে। কোথাও আবার তা আটকে থাকছে লাল ফিতের ফাঁসে। কিছু ক্ষেত্রে টাকা ঢালতে আগ্রহী লগ্নিকারীর খোঁজ থাকলেও দেওয়াল হয়ে দাঁড়াচ্ছে জমি-জট। অনুৎপাদক সম্পদের সমস্যায় জর্জরিত ব্যাঙ্ক আর নগদের সঙ্কটে ভোগা এনবিএফসির (ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক সংস্থা) কাছে অনেক সময়ে কঠিন হচ্ছে মূলধনের জন্য ঋণ জোগাড়ও।

বৈঠক শেষে এনএইচএআইয়ের চেয়ারম্যান এন এন সিন্‌হার দাবি, ইতিমধ্যেই ৬০০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের বরাত দেওয়া হয়েছে। সম্ভব হবে তার লক্ষ্য ছোঁয়াও। তবে এইচসিসির সিএমডি অজিত গুলাবচাঁদের মতে, সবার আগে এই ক্ষেত্রকে আরও লগ্নিবান্ধব করে তোলা জরুরি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন