প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রের ৫০০ ও ১০০০ টাকার মোট বাতিলের ঘোষণার পরই দেশের বড় শহরগুলিতে গয়নার দোকানে বিক্রির মাত্রা এক লাফে অনেকটা বেড়ে যায়। পাল্লা দিয়ে বাড়ে সোনার দামও। কিন্তু তাতেও কেনাকাটায় ভাটা পড়েনি শহরের গয়নার দোকানগুলিতে। নোট বাতিল হওয়ার পরই কালো টাকা কী ভাবে সাদা করা যায় সেই ভাবনায় অনেকেই কাতর ছিলেন। কিছু উপায়ও বেরিয়ে যায় তত্ক্ষণাত্।
গয়নার দোকানগুলির বিক্রি ৮ নভেম্বরর থেকেই এক লাফে বহু গুণ বেড়ে যায়। এ বার এই গয়নার দোকানগুলিকেও নজরবন্দি করেছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সেন্ট্রাল এক্সসাইজ ইন্টেলিজেন্স (ডিজিসিইআই)। এটি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের একটি গোয়েন্দা বিভাগ। ডিজিসিইআই সূত্রে খবর, গত চার দিনে যা সোনা বিক্রি হয়েছে তার বিস্তারিত বিবরণ চেয়ে নোটিস পাঠানো হয়েছে প্রায় ৬০০-র বেশি গয়নার দোকানে। প্রাথমিক ভাবে দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা, চেন্নাই, আমদাবাদ, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, ভোপাল, বিজয়ওয়াড়া, নাসিক, লখনউয়ে বড় গয়নার দোকানগুলিকে এই নোটিস পাঠানো হয়েছে। ধীরে ধীরে অন্য শহরগুলোতেও এই নোটিস পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন এক আধিকারিক।
ডিজিসিইআই জানিয়েছে, যে সব গয়নার দোকানে নোটিস পাঠানো হয়েছে সরকারের নিয়ম মেনে বিক্রি করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। শুধু তাই নয়, গয়না বিক্রির সময় গ্রাহকের প্যান কার্ড ব্যবহার হয়েছে কিনা তা-ও দেখা হবে। গয়না বিক্রির পর নগদ টাকার হিসাবও পরীক্ষা করা হবে প্রয়োজনে। যে সব দোকান এই নিয়ম লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছে দফতরটি।
আরও খবর...