চলতি অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের আর্থিক বৃদ্ধির আগাম পরিসংখ্যান প্রকাশিত হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি। তার আগে নোট বাতিলের জেরে ওই সময়ে বৃদ্ধি ৬ শতাংশের নীচে নামবে বলে আশঙ্কা জানাল স্টেট ব্যাঙ্কের গবেষণা সংস্থা ইকোর্যাপ। তাদের সমীক্ষা অনুসারে, ওই সময়ে বৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৫.৮%। আর জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে তা বেড়ে হবে ৬.৪%। উল্লেখ্য, কেন্দ্রের পূর্বাভাস ছিল তৃতীয় ও চতুর্থ ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধি হবে যথাক্রমে ৬.১% এবং ৭.৮%।
গবেষণা সংস্থাটির মতে, নোট কাণ্ডের পরে নভেম্বর-ডিসেম্বরে দেশের অর্থনীতি ঠিক কী জায়গায় দাঁড়িয়েছিল, তা বোঝা যাবে সরকারি পরিসংখ্যানেই। স্বল্প মেয়াদে ওই সিদ্ধান্তের বিরূপ প্রভাব পড়লেও, দীর্ঘ মেয়াদে অবশ্য ভারতের অর্থনীতি নিয়ে আশাবাদী ইকোর্যাপ। এ দিকে, একই আশঙ্কা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারও। তাদের মত, চলতি অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধি ৬.৬ শতাংশে নামলেও, পণ্য-পরিষেবা কর জমানা শুরু হলে ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি। সে ক্ষেত্রে তা ছুঁতে পারে ৮ শতাংশও।
এর মধ্যেই অবশ্য বাজারে নগদের জোগান ফেরা এবং চাহিদা বাড়ার হাত ধরে চতুর্থ ত্রৈমাসিকে দেশের আর্থিক বৃদ্ধিতে গতি ফিরবে বলে মনে করছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। একই সঙ্গে নোট বাতিলের প্রভাব কাটিয়ে অর্থনীতি ছন্দে ফেরার লক্ষণ স্পষ্ট বলে জানিয়েছে মূল্যায়ন সংস্থা এসঅ্যান্ডপি-ও।
ঋণনীতি পর্যালোচনার বৈঠকের আলোচ্যসূচি অনুসারে আরবিআই গভর্নর উর্জিত পটেলের বক্তব্য, গত দু’মাসে নোটের জোগান বেড়েছে। চাহিদাও আগের জায়গায় ফিরছে। ২০১৭ সালে বিশ্ব জুড়েই অর্থনীতিতে গতি আসবে বলেও ধারণা শীর্ষ ব্যাঙ্কের। যার প্রভাব পড়বে দেশেও।-সংবাদ সংস্থা
পাশাপাশি, বাজেটে পরিকাঠামোয় ব্যয় বৃদ্ধি এবং সকলের মাথায় ছাদের জোগাড় করতে যে পদক্ষেপ করেছেন অর্থমন্ত্রী, তারও ভাল ফলই দেখা যাবে বলে মনে করছে আরবিআই। উল্লেখ্য, গত ঋণনীতিতে রেপো রেট অপরিবর্তিত রেখেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। যার পক্ষে ভোট দিয়েছেন ওই সংক্রান্ত কমিটির ছ’জন সদস্যই।
এ দিকে এসঅ্যান্ডপি-র বক্তব্য, ধীরে হলেও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশের অর্থনীতি। তবে নভেম্বরের আগের জায়গায় ফিরতে তা এখনও সময় নেবে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি চলতি বছরে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হারের পূর্বাভাস কমিয়ে ৬.৯% করেছে উপদেষ্টা সংস্থাটি।