বানভাসি কেরল সেস চায়, কাঁটা জটিল জিএসটি

সেপ্টেম্বরের শেষে গোয়ায় জিএসটি পরিষদের পরের বৈঠকে এই দাবি তুলবেন টমাস। তার আগে সব রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের চিঠি লিখে সমর্থন চাইবেন। আর এতেই উদ্বেগ বাড়ছে কেন্দ্রের। তাদের আশঙ্কা, বিরোধী রাজ্যগুলি তো বটেই, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিও সমর্থন করতে পারে কেরলকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৮ ০১:৪২
Share:

বিধ্বস্ত: ভেঙেছে বাড়ি। ধুয়ে গিয়েছে রাস্তা। কেরলে। পিটিআই

চিন্তায় পড়েছে অর্থ মন্ত্রক। কারণ কেরলের অর্থমন্ত্রী টমাস আইজ্যাকের দাবি, বন্যা পরিস্থিতি সামলাতে তাঁকে রাজ্য-জিএসটির উপরে ১০% সেস বসানোর ক্ষমতা দিতে হবে। রাজ্য-জিএসটির হারও বেঁধে দেওয়া চলবে না। বরং রাখতে হবে ঊর্ধ্ব ও নিম্নসীমা। যাতে রাজ্যের বাড়তি অর্থের প্রয়োজন হলেই বেশি হারে কর চাপানো যায়। নইলে সম্ভব হয় কমানো।

Advertisement

তবে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক কর্তাদের যুক্তি, কেরলের দাবি মানলে জিএসটির মূল মন্ত্র, ‘এক দেশ-এক কর’ ব্যবস্থা ধাক্কা খাবে। পণ্যের দাম এক এক রাজ্যে এক এক রকম হবে। জটিলতা দেখা দেবে কর প্রক্রিয়ায়।

সেপ্টেম্বরের শেষে গোয়ায় জিএসটি পরিষদের পরের বৈঠকে এই দাবি তুলবেন টমাস। তার আগে সব রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের চিঠি লিখে সমর্থন চাইবেন। আর এতেই উদ্বেগ বাড়ছে কেন্দ্রের। তাদের আশঙ্কা, বিরোধী রাজ্যগুলি তো বটেই, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিও সমর্থন করতে পারে কেরলকে। কারণ, তাদের অনেকেই জিএসটি জমানায় রাজ্যের হাতে কর বসানোর ক্ষমতা না থাকার কথা বলেছে। প্রশ্ন তুলছে, হঠাৎ প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলে, তা সামলানোর অর্থ তারা কোথায় পাবে?

Advertisement

ঠিক যে যুক্তিতে শেষ জিএসটি পরিষদের বৈঠকে সব রাজ্য পেট্রল-ডিজেলকে জিএসটিতে আনার বিরোধিতা করেছিল। একমত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়ালও। সে সময়ই বন্যা-ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগের আশঙ্কার কথা বলেছিলেন টমাস। কেরলে তখনও বন্যা হয়নি।

টমাসের যুক্তি, বন্যায় ২০-২৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। অথচ কেন্দ্র দিয়েছে ৬০০ কোটি। রাজ্য পুনর্গঠনের জন্যই তাঁকে বাড়তি রাজস্ব আয়ের পথ খুঁজতে হবে। যে কারণে মদে সেস বসিয়েছেন তিনি।

অর্থ মন্ত্রকের কর্তাদের যুক্তি, রাজ্যকে এই ক্ষমতা দিতে ফের সংবিধান ও আইন সংশোধন করতে হবে। অথচ প্রাকৃতিক দুর্যোগ সামলাতে রাজ্যগুলির হাতে বাড়তি আয়ের ক্ষমতা যে থাকা জরুরি, কেরলের বন্যা তা প্রমাণ করেছে। কিন্তু সমস্যা, সে জন্য জিএসটির মূল কাঠামোতেই বদল আনতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন