কাজ হচ্ছে। কিন্তু তার হিসেব নেই। হাতে নেই তা মাপার সঠিক পরিসংখ্যান। প্রধানমন্ত্রীর এই যু্ক্তিকে পোক্ত করতে ফের আসরে ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। তাঁর দাবি, তথ্য সংগ্রহের আগেকার পদ্ধতি পুরনো হয়েছে। তাই সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তথ্য সংগ্রহের নতুন পথে হেঁটে কাজ করার চেষ্টা করছে এনএসএসও। সম্প্রতি যাদের ফাঁস হওয়া রিপোর্টে বিতর্ক হয়েছে বিস্তর।
এনএসএসও-র ফাঁস হওয়া ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, নোটবন্দির পরে দেশে ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হার ছুঁয়েছিল বেকারত্ব। যা প্রামাণ্য নয় বলে আগেই আসরে নেমেছে কেন্দ্র এবং নীতি আয়োগ। সেই অস্ত্রে ফের শান দিয়েই এ দিন ফের নির্ভুল তথ্য সংগ্রহের জন্য যুগের সঙ্গে তাল মেলানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। তাঁর দাবি, ‘‘এনএসএসও সমীক্ষা চালায় প্রথাগত উপায়ে। রিপোর্ট বার করে প্রতি পাঁচ বছরে। তবে এখন তারা নতুন পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে। বিভিন্ন পথে কাজের সুযোগ তৈরি হয়, এটা মাথায় রেখেই।’’ কারণ তাঁর মতে, কাজের বাজারের ছবি আমূল বদলাচ্ছে। ৯টা-৫টা চাকরির ধারণা কার্যত মুছে যাচ্ছে। তরুণ প্রজন্ম পা রাখছে নতুন ধরনের বিভিন্ন কাজে। আর সেই কারণেই নতুন পদ্ধতি প্রয়োজন বলে তাঁর দাবি। এক বিরোধী নেতার পাল্টা কটাক্ষ, নতুন নিয়মে পাওয়া হিসেব প্রকাশের সাহসও মোদী সরকার দেখাতে পারবে তো?