শনিবার বণিকসভার অনুষ্ঠানে কলরাজ মিশ্র, বাবুল সুপ্রিয় ও অমিত মিত্র (বাঁ দিক থেকে)। —নিজস্ব চিত্র।
রাজ্য সরকারের দাবি, তারা শিল্পায়নের লক্ষ্যে কর কাঠামোর সংস্কার করেছে। কিন্তু শিল্পমহলের বাস্তব অভিজ্ঞতা, পড়শি রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে বেশ কিছু পণ্যে করের হার বেশি। ফলে প্রতিযোগিতার বাজারে পিছিয়ে পড়ছেন এ রাজ্যের শিল্পোদ্যোগীরা। শনিবার এমসিসি চেম্বারের বার্ষিক সভায় রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের উপস্থিতিতে এই অভিযোগ এনে কর কাঠামো পুনর্বিন্যাসের দাবি তুললেন বণিকসভাটির প্রেসিডেন্ট অরুণ কুমার সরাফ।
লগ্নি টানতে এখন সব রাজ্যই নানা ছাড়ের সুযোগ দিচ্ছে। যেখানে বাড়তি সুযোগ, সেখানেই পাড়ি দিচ্ছে বিনিয়োগ। সরাফের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে পড়শি ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যে যেমন কিছু ক্ষেত্রে করের হার কম, তেমনই সেখানে বিনিয়োগ করলেও বাড়তি ছাড় মেলে। সভার পরে তিনি জানান, এ রাজ্যের মতোই ওড়িশায় তিনি ফ্লাই-অ্যাশ থেকে ব্লক তৈরির কারখানা গড়েছেন। এ রাজ্যে ৫% হারে ভ্যাট দিতে হলেও ওড়িশায় তা শূন্য। তেমনই তাঁর সংস্থা যে সিমেন্টের চাদর তৈরি করে, এ রাজ্যে তার উপর ১৪.৫% হারে ভ্যাট দিতে হলেও ছত্তীসগঢ়ে তা ৫%।
অর্থমন্ত্রীর কাছেই করের বোঝা লাঘব করার আর্জি জানান সরাফ। পরে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে অমিতবাবু জানান, বণিকসভা এ নিয়ে স্পষ্ট করে জানালে তারপর তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।
এ দিনের সভায় কেন্দ্রীয় ছোট ও মাঝারি শিল্পমন্ত্রী কলরাজ মিশ্র ও নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও উপস্থিত ছিলেন। শিল্পায়ন ও উন্নয়নের স্বার্থে কেন্দ্র-রাজ্যের পারস্পরিক সহযোগিতার উপর জোর দেন দু’জনেই।