কলকাতার হাত ধরে ভারতে যাত্রা শুরু করতে চলেছে ১৬,২২২ কোটি ইয়েন বা ৯,৭৩,৩২০ কোটি টাকার ব্যবসা করা জাপানি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ফুজিসফট।
জাপান, আমেরিকা, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া ও চিনের পরে এ বার ভারতে পা রাখতে চায় তথ্যপ্রযুক্তি ও রোবট সংক্রান্ত কারিগরিতে দক্ষ সংস্থা ফুজিসফট। তবে নতুন বাজারে একলা ব্যবসা শুরু করতে রাজি নয় সংস্থা। ‘স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার’ হিসেবে তারা বেছে নিয়েছে কলকাতার সদ্য তৈরি পরামর্শদাতা সংস্থা সুমন্ত্রণাকে।
তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে ব্যবসার পাশাপাশি বিশ্ব জুড়ে তথ্য নিরাপত্তার চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে যন্ত্র তৈরির দিকেও নজর দিচ্ছে ফুজিসফট। ইতিমধ্যেই প্যালরো নামের রোবট বাজারে ছেড়েছে সংস্থা। আঙুলের ছাপ নেওয়ার মতো ‘বায়োমেট্রিক’ পদ্ধতির দুনিয়ায় আর এক ধাপ এগিয়ে ‘ফিংগার ভেন’ বা আঙুলের শিরার ছবি তোলার যন্ত্র তৈরি করেছে তারা। সংস্থার দাবি, এখানে জালিয়াতির সুযোগ শূন্য।
আর, ফুজিসফটের বাণিজ্যিক মানচিত্রে জায়গা করে নেওয়ার ফলে ‘অটোমেশন’ বা যন্ত্র শিল্পের দৌড়ে কলকাতা সামিল হতে পারবে বলে দাবি সুমন্ত্রণার প্রতিষ্ঠাতা রূপেন রায়ের। তিনি বলেন, ‘‘রোবট বা যন্ত্রের ব্যবহার ঠেকানো যাবে না। বরং এই সংক্রান্ত দক্ষতা তৈরি করতে পারলে কলকাতাই হয়ে উঠতে পারে ভারতের অটোমেশন হাব। ফুজিসফটের হাত ধরে এই যাত্রা শুরু করা সম্ভব।’’ যন্ত্র আর রোবটের কাছে মানুষ কাজ খোয়াতে শুরু করেছে অনেক দিনই। তা সে কাজ ব্যাঙ্ককর্মীর হোক বা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের। টিসিএস, কগনিজন্যান্ট, উইপ্রো— প্রযুক্তি-সুনামির ঢেউয়ে রাজ্যে নিয়োগে রাশ টানছে তিন সংস্থাই। রূপেনবাবুর দাবি, এই পরিস্থিতি ঠেকাতে ফুজিসফটের মতো সংস্থার উপস্থিতি জরুরি।