বিতর্কের পরিসংখ্যান একই ছাতার নীচে

আর্থিক বৃদ্ধি, শিল্পোৎপাদন, মূল্যবৃদ্ধির মতো জাতীয় অর্থনীতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত পরিসংখ্যানগুলি তৈরি করে সিএসও। অন্য দিকে স্বাস্থ্য, শিক্ষা-সহ বিভিন্ন সামাজিক ও আর্থিক তথ্য নিয়ে সমীক্ষা করে রিপোর্ট তৈরি করে এনএসএসও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৯ ০৪:১০
Share:

কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান দফতর (সিএসও) এবং ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে অফিসকে (এনএসএসও) জাতীয় পরিসংখ্যান দফতরে (এনএসও) মিশিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি রূপায়ণ মন্ত্রক। এক নির্দেশিকায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। মন্ত্রকের যুক্তি, তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ সংক্রান্ত বিভিন্ন দফতরের কাজের সামঞ্জস্য বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ।

Advertisement

কয়েক মাস আগে সংবাদ মাধ্যমে এনএসএসও-র ফাঁস হওয়া রিপোর্টে বলা হয়েছিল, নোট বাতিলের পরে দেশে বেকারত্বের হার গত সাড়ে চার দশকে সর্বোচ্চ হয়েছে। কেন্দ্র অবশ্য জানায়, ওই রিপোর্ট এখনও অসম্পূর্ণ। এই প্রেক্ষিতে তথ্য ও পরিসংখ্যান সংক্রান্ত বিভিন্ন দফতরের সংযুক্তিকে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছেন অনেকে।

আর্থিক বৃদ্ধি, শিল্পোৎপাদন, মূল্যবৃদ্ধির মতো জাতীয় অর্থনীতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত পরিসংখ্যানগুলি তৈরি করে সিএসও। অন্য দিকে স্বাস্থ্য, শিক্ষা-সহ বিভিন্ন সামাজিক ও আর্থিক তথ্য নিয়ে সমীক্ষা করে রিপোর্ট তৈরি করে এনএসএসও। এর আগে পর্যন্ত এই দু’টি স্বশাসিত সংস্থা হিসেবে কাজ করত। নতুন নির্দেশের ফলে এই সংস্থাগুলি পরিসংখ্যান মন্ত্রকের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে কাজ করবে। এনএসও-র শীর্ষে থাকবেন পরিসংখ্যান মন্ত্রকের সচিব। তিনি সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির ডিরেক্টর জেনারেলদের (ডিজি) সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করবেন। এনএসএসও-র অধীনে থাকা ডেটা প্রসেসিং ডিভিশনের (ডিপিডি) নাম বদলে হচ্ছে ডেটা কোয়ালিটি অ্যাশিওরেন্স ডিভিশন (ডিকিউএডি)।

Advertisement

এরই সঙ্গে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, নতুন নির্দেশিকায় জাতীয় পরিসংখ্যান কমিশনের (এনএসসি) সম্পর্কে কোনও কথাই বলা নেই। এত দিন কমিশনের বিশেষজ্ঞেরাই সরকারি পরিসংখ্যান তৈরির কাজ দেখভাল করতেন। কী ভাবে পরিসংখ্যান তৈরি হবে, কী ধরনের সমীক্ষা হবে, তা-ও ঠিক করতেন তাঁরাই। কমিশন সম্পর্কে নির্দেশিকায় কোনও কথা না থাকায় তা আদৌ থাকবে কি না, তা নিয়েই জল্পনা শুরু হল। উল্লেখ্য, বেকারত্বের হার নিয়ে সমীক্ষা ধামাচাপা দিয়ে রাখার প্রতিবাদে কমিশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পি সি মোহনন ও সদস্য জে ভি মীনাক্ষি পদত্যাগ করেছিলেন। অনেকে বলছেন, পরিসংখ্যান মন্ত্রকই সরাসরি সরকারি পরিসংখ্যান, সমীক্ষা তৈরির পদ্ধতি ঠিক করলে নতুন ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। সে ক্ষেত্রে দেশীয় লগ্নি তো বটেই, বিদেশি লগ্নির পথেও বাধা আসতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন