সাত দিনেই জিএসটি-র সুখবর, ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রীর

শনিবার প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে গড়া কমিটির সামনে যে সমস্ত প্রস্তাব রাখা হয়েছিল, তার অধিকাংশই মেনে নিয়েছেন তাঁরা। ফলে স্বস্তিদায়ক ঘোষণা আাগামী সপ্তাহেই শোনা যেতে পারে বলে তাঁর ইঙ্গিত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৭ ০২:২৯
Share:

ছবি: সংগৃহীত

শিয়রে বিধানসভা ভোট। তা-ও আবার প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যে। যে গুজরাতে জিএসটি নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ব্যবসায়ীদের বড় অংশ। এই প্রবল চাপের মুখে দেশজুড়ে ব্যবসায়ীদের জিএসটি-ক্ষোভে জল ঢালতে এ বার আগামী সপ্তাহেই তাঁদের স্বস্তি দেওয়ার মতো ঘোষণা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৯ ও ১০ নভেম্বর জিএসটি পরিষদের বৈঠক গুয়াহাটিতে। অনেকে মনে করছেন, নতুন কর নিয়ে স্বস্তির ঘোষণা হতে পারে সেখানেই।

Advertisement

শনিবার প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে গড়া কমিটির সামনে যে সমস্ত প্রস্তাব রাখা হয়েছিল, তার অধিকাংশই মেনে নিয়েছেন তাঁরা। ফলে স্বস্তিদায়ক ঘোষণা আাগামী সপ্তাহেই শোনা যেতে পারে বলে তাঁর ইঙ্গিত।

আসলে আমজনতা ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বেশ কিছু পণ্য-পরিষেবায় ২৮% করের চড়া হারের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হোক। অনেক ক্ষেত্রে আবার অভিযোগ, জিএসটি দিতে হচ্ছে সর্বোচ্চ খুচরো মূল্যের (এমআরপি) উপরে। এখন বছরে দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যবসায় তিন মাসে একবার রিটার্ন ফাইলের সুবিধা আছে। এ বার সকলের জন্যই একই সুবিধা দেওয়া হতে পারে। রিটার্ন ফাইলে দেরির ক্ষেত্রে কমতে পারে জরিমানা। ছোট ও মাঝারি শিল্পকে স্বস্তি দিতে কিছু নিয়ম সরল করা হতে পারে।

Advertisement

আমজনতা, ছোট ব্যবসায়ীদের স্বস্তি দেওয়ার রাস্তা খুঁজতে রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে একটি গোষ্ঠী তৈরি হয়েছিল। যার প্রধান অসমের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সেখানে আছেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী, ছত্তীসগঢ়ের রাজস্বমন্ত্রী অমর অগ্রবাল, জম্মু-কাশ্মীরের অর্থমন্ত্রী হাসিব দ্রাবু, পঞ্জাবের অর্থমন্ত্রী কংগ্রেসের মনপ্রীত সিংহ বাদল। কেন্দ্রের দাবি, এই কমিটিই নতুন করের নিয়ম সরল করার পক্ষপাতী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement