আমেরিকার সঙ্গে অবাধ বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার সময়ে ভারতের প্রতিনিধিরা যেন এই বিষয়টি মাথায় রাখেন এবং সতর্ক পদক্ষেপ করেন। —প্রতীকী চিত্র।
সম্প্রতি ব্রিটেনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি আলোচনা শেষ করেছে আমেরিকা। বিশেষজ্ঞ মহলের ব্যাখ্যা, সেই চুক্তি থেকে আমেরিকা যা আদায় করে নিতে চলেছে, কার্যত তার ভগ্নাংশ সুবিধাও পাচ্ছে না ব্রিটেন। আমেরিকার সঙ্গে অবাধ বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার সময়ে ভারতের প্রতিনিধিরা যেন এই বিষয়টি মাথায় রাখেন এবং সতর্ক পদক্ষেপ করেন। এমন একটি চুক্তি যেন করা যায়, যাতে উভয় পক্ষ লাভবান হয়। ইতিমধ্যেই দুই পক্ষ এক দফা বৈঠক করেছে। এই মাসে ওয়াশিংটনে পরবর্তী পর্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা। দুই দেশই চাইছে, প্রাথমিক ভাবে ছোট চুক্তির কাজ সম্পূর্ণ করতে। যাতে পরবর্তী পর্যায়ের রাস্তা চওড়া করা যায়। ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে ৫০,০০০ কোটি ডলারে নিয়ে যেতে চায় তারা।
ভারতের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পরামর্শদাতা সংস্থা জিটিআরআই-এর বক্তব্য, আলোচনা যেন শুধু রাজনীতির উপরে ভিত্তি করে না হয়। সার্বভৌমত্ব যেন বজায় থাকে। সংস্থার বক্তব্য, ব্রিটেনের সঙ্গে আলোচনায় আমেরিকা নিজেদের প্রায় ২৫০০ পণ্যের শুল্ক কমাতে পেরেছে। ব্রিটেনের ঝুলিতে সেখানে মোটামুটি ১০০। তা-ও শুল্ক কমে ঠেকেছে আমেরিকার ন্যূনতম ১০ শতাংশে। চুক্তি অনুযায়ী, জ্বালানি, বোয়িংয়ের বিমান, হেলিকপ্টার কিনতে হবে ব্রিটেনকে। আমেরিকা যদি বাকি দেশের সঙ্গে এই কাঠামো অনুযায়ী পদক্ষেপ করে, তা হলে দিল্লির উপরেও চাপ বাড়াবে ওয়াশিংটন। সয়াবিন, ইথানল, আমন্ড, আপেল, অ্যাভোকাডো-সহ নানা কৃষিপণ্য এবং মাংস-সহ বিভিন্ন পোলট্রিজাত পণ্যের বাজার খোলার জন্য আসতে পারে চাপ। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
জিটিআরআই-এর প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘ভারতের একই ধরনের ফাঁদে পড়লে চলবে না। বাণিজ্য চুক্তি যেন পারস্পরিক সুবিধা ভিত্তিতে এবং ন্যায়সঙ্গত হয়। এই ভারসাম্য এবং সার্বভৌমত্বের লক্ষ্যে ভারতের দিক থেকেও চাপ রাখতে হবে। এই ভারসাম্য না রাখা গেলে চুক্তি থেকে বার হয়ে আসা ভাল।’’
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে