অবশেষে রাষ্ট্রায়ত্ত হিন্দুস্তান কেব্লস গুটিয়ে নিতে খাতায়-কলমে সায় দিল কেন্দ্র।
২০০৩ সাল থেকে উৎপাদন বন্ধ থাকা সংস্থাটি গোটাতে ৪৭৭৭.০৫ কোটি টাকার প্যাকেজে আজ সায় দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা, যা কর্মীদের বেতন মেটানো ও আগাম অবসর খাতে খরচ করা হবে। পাশাপাশি, ওই তহবিল কাজে লাগিয়েই সরকারি ঋণকে রূপান্তরিত করা হবে ইকুইটিতে।
রাষ্ট্রায়ত্ত দুই টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল ও এমটিএনএলকে টেলিফোন কেব্ল সরবরাহ করার লক্ষ্যেই ১৯৫২ সালে তৈরি হয় হিন্দুস্তান কেব্লস লিমিটেড (এইচসিএল)। চারটি কারখানার মধ্যে দু’টিই পশ্চিমবঙ্গে— রূপনারায়ণপুর ও নরেন্দ্রপুরে। বাকি দু’টি তেলঙ্গানার হায়দরাবাদে ও উত্তরপ্রদেশের নইনিতে। কিন্তু বদলে যাওয়া টেলিযোগাযোগ দুনিয়া ও মোবাইল ফোনের তারবিহীন প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারেনি এইচ সি এল। ফলে টেলিকম কেব্লের চাহিদা কমার সঙ্গে সঙ্গেই দ্রুত কমতে থাকে সংস্থার ব্যবসা। বেশ কিছু দিন ধরেই কেন্দ্রীয় সরকার সংস্থাটিকে চাঙ্গা করার চেষ্টা চালালেও, তাতে ফল মেলেনি।
সংস্থা বন্ধ করার অঙ্গ হিসেবে কর্মীদের ২০০৭ সালের বেতনক্রম অনুযায়ী স্বেচ্ছাবসর বা স্বেচ্ছা-বিচ্ছেদ প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। খরচ মেটাতে সংস্থায় নগদ জোগানো হবে ১৩০৯.৯০ কোটি টাকার। এ ছাড়া চলতি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংস্থার বকেয়া সরকারি ঋণ (সুদ সমেত) শেয়ারে রূপান্তরিত করতে জোগানো হবে ৩৪৬৭.১৫ কোটি। তবে তা নগদে দেওয়া হবে না। এ ছাড়া ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের নেতৃত্বে ঋণদাতা ব্যাঙ্কগুলির জোট সুদ মকুব করে এককালীন ৩০৫.৬৩ কোটি টাকা নিয়ে রফায় আসতে রাজি হয়েছে।
ভারত পাম্প বিলগ্নিকরণ। এলাহাবাদ ভিত্তিক ভারত পাম্পস অ্যান্ড কমপ্রেসর্স বিলগ্নিকরণে নীতিগত সায় দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সে ক্ষেত্রে আলাদা সংস্থার হাতে ভারত পাম্পসের ৫০ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ার মালিকানা তুলে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গেই ওই সংস্থার হাতে যাবে পরিচালনার রাশ। পাশাপাশি, যোজনা বহির্ভূত ঋণ খাতে কেন্দ্র ভারত পাম্পসকে দেবে ১১১.৫৯ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা।