ভাল বর্ষার পালে ভর করে ফের নতুন মাইলফলক পেরোল শেয়ার সূচক।
মঙ্গলবার ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক নিফ্টি এই প্রথম ৯,৫০০ পেরিয়ে থামল ৯,৫১২.২৫ অঙ্কে। সোমবারের ৯৪৪৫.৪০ পয়েন্টের চেয়ে যা ৬৬.৮৫ অঙ্ক বেশি। নতুন উচ্চতা ছুঁয়েছে বিএসই সূচক সেনসেক্সও। ২৬০.৪৮ পয়েন্ট বেড়ে তা দিনের শেষে পৌঁছে যায় ৩০,৫৮২.৬০ পয়েন্টে। এ ক্ষেত্রেও সোমবারের ৩০,৩২২.১২ অঙ্ককে টপকে গিয়েছে সেনসেক্স।
চড়া বাজারে ষাঁড়ের এই দাপাদাপির মধ্যেই অবশ্য এ দিন পড়েছে ডলারে টাকার দাম। গত তিন দিনের লেনদেনে ৫৮ পয়সা বাড়লেও এ দিন তা ৩ পয়সা কমে যায়। ফলে বিদেশি মুদ্রার বাজার বন্ধের সময়ে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়ায় ৬৪.০৮ টাকা। ডলারের চাহিদা বাড়ার কারণেই টাকার এই পতন বলে বাজার সূত্রের ইঙ্গিত।
নির্ধারিত সময়ের আগেই দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছে গিয়েছে বলে ইতিমধ্যে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। মঙ্গলবারও আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কেরল উপকূলে বর্ষা ঢুকছে আগেই, আগামী ৩০ মে। ভাল বর্ষার আশায় ভর করেই সোমবার থেকে পুরনো রেকর্ড ভেঙে দৌড়চ্ছে সেনসেক্স-নিফ্টি। আর, এই উত্থানে ইন্ধন জুগিয়েছে বিভিন্ন সংস্থার ভাল আর্থিক ফল এবং বিশ্ব বাজারের চাঙ্গা ভাব। এ দিকে, স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রের খবর, বিদেশি আর্থিক সংস্থাগুলিও, ভারতের বাজারের প্রতি আস্থা রেখে লগ্নি বাড়াচ্ছে। সোমবার তাদের লগ্নি ছিল ২৩৫.৩৩ কোটি টাকা। তবে দেশি আর্থিক সংস্থাগুলি বিক্রি করেছে ৬৫.৭৭ কোটির শেয়ার।
তবে যে-সব শিল্পের আর্থিক হাল এই মুহূর্তে ততটা ভাল নয়, সেগুলিও এই দৌড়ে সামিল হওয়ায় উদ্বিগ্ন বাজার বিশেষজ্ঞরা। জিওজিৎ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস-এর গবেষণা বিভাগের প্রধান বিনোদ নায়ার বলেন, ‘‘টেলিকম, তথ্যপ্রযুক্তি, ওষুধ সংস্থার শেয়ার দরও বাড়ছে। এর জেরেই আচমকা পতন আসতে পারে বাজারে।’’ তবে মুনাফা তোলার জেরে কিছুটা সংশোধন স্বাভাবিক বলে মনে করছেন বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞ।