গত ৩১ মার্চের মধ্যে পুরনো ভারত স্টেজ-৩ (বিএস-৩) দু’চাকার গাড়ি বিক্রি করার জন্য অভূতপূর্ব ছাড় ঘোষণা করেছিল বিভিন্ন সংস্থা। আর, তার জেরেই এই শিল্পের প্রায় ৬০০ কোটি টাকা লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে।
বেসরকারি উপদেষ্টা সংস্থা ‘ক্রিসিল’-এর সমীক্ষায় সেই ইঙ্গিতই দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৭০% বোঝাই বইতে হবে সংস্থাগুলিকে। বাকিটা ডিলারদের লোকসান। অন্য দিকে, বাণিজ্যিক গাড়ি সংস্থাগুলির একই কারণে প্রায় ২৫০০ কোটির লোকসান হবে বলে জানিয়েছে তারা।
১ এপ্রিল থেকে দেশে চালু হয়েছে ‘ভারত স্টেজ-৪’ (বিএস-৪) মাপকাঠির দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধি। তার আগে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, এপ্রিল থেকে কোনও ধরনের পুরনো বিএস৩ গাড়ি বিক্রি করা যাবে না। তড়িঘড়ি মজুত ভাণ্ডার খালি করতে পুরনো গাড়ির জন্য, বিশেষ করে দু’চাকার গাড়িতে বিপুল ছাড় ঘোষণা করে বিভিন্ন সংস্থা। সে সময়ে ডিলারদের ভাঁড়ারে প্রায় ৬.৭০ লক্ষ পুরনো দু’চাকার গাড়ি ছিল, যেগুলির মূল্য প্রায় ৩,৮০০ কোটি টাকা।
কিন্তু ১০-৩০% পর্যন্ত ছাড়া দেওয়ায় তার প্রায় সবটাই বিক্রি হয়ে গিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর। অধিকাংশ বাইক সংস্থাই গত জানুয়ারি থেকে বিএস-৪ গাড়ি তৈরি করতে শুরু করায় মজুত ভাণ্ডার ততটা বাড়েনি বলেও দাবি করেছে সংশ্লিষ্ট মহল।