গীতা গোপীনাথ। এএফপি
বৃদ্ধির ফিতেয় পড়শি চিনকে ২০১৯ এবং ২০২০ সালে ফের পিছনে ফেলে দিতে পারে ভারত। ধরে রাখতে পারে বিশ্বে দ্রুততম বৃদ্ধির দেশের তাজ। কিন্তু তা সত্ত্বেও দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনীতির রথের চাকায় গতি ধরে রাখতে অনুৎপাদক সম্পদ ছাঁটাই, রাজকোষ ঘাটতিতে রাশ, ভর্তুকি কমানো, সংস্কার জারি রাখার মতো এক গুচ্ছ বিষয়ে ভারতের মন দেওয়া জরুরি বলে জানিয়ে দিল আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের (আইএমএফ) রিপোর্ট।
তাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি ও আগামী বছরে ভারতের সম্ভাব্য বৃদ্ধি যথাক্রমে ৭.৩% ও ৭.৫%। চিনের তুলনায় (৬.৩% ও ৬.১%) বেশ খানিকটা বেশি। তবে আগের পূর্বাভাসের চেয়ে কম। যদিও আইএমএফের মতে, বৃদ্ধিতে ‘ফার্স্ট বয়’-এর তকমা ধরে রাখতে সবার আগে জোর দিতে হবে দেশে কাজের সুযোগ তৈরির উপরে। সংস্কারে গতি কমতে দেওয়া চলবে না। সরকারি ধার কমাতে রাশ শক্ত করা জরুরি রাজকোষ ঘাটতিতে। জিএসটির জাল আরও বিস্তৃত হওয়া প্রয়োজন। দরকার ভর্তুকি কমানোও। আরও পোক্ত ভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক পরিচালনার মাধ্যমে কমাতে হবে অনুৎপাদক সম্পদের বোঝা। পরিকাঠামো প্রকল্পে জমি পাওয়ার পথও প্রশস্ত করতে হবে।
বৃদ্ধিতে বিশ্বের উজ্জ্বল বিন্দু হওয়া সত্ত্বেও কেন এমন সাবধানে পা ফেলা জরুরি, তা স্পষ্ট আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির মুখ্য অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথের কথাতেই। তাঁর মতে, এই মুহূর্তে দুনিয়া জোড়া মন্দা কিংবা বড় আর্থিক সঙ্কটের চোখরাঙানি হয়তো নেই। কিন্তু তেমনই কিছুটা হোঁচট খেতে পারে বিশ্ব অর্থনীতির বৃদ্ধির হার। সমস্যা বাড়াতে পারে বাণিজ্য যুদ্ধ, ব্রেক্সিট ইত্যাদি। সেই কারণে ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশের আগে থেকে কোমর বাঁধা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।