মধ্যবিত্তকে খুশি করতে প্রায় ১০০টি পণ্যে জিএসটি কমিয়েছে কেন্দ্র। ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পকে সুরাহা দিতেও শুরু হয়েছে তৎপরতা। এ বার সম্ভবত পালা বস্ত্র শিল্পের। সরকারি সূত্রের খবর, শ্রম নিবিড় ক্ষেত্রটির স্বার্থে প্রায় ৩০০ পণ্যে আমদানি শুল্ক বাড়ানোর কথা ভাবছে মোদী সরকার। বিনিয়োগ টানতে কমানো হতে পারে প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি বিধির কড়াকড়িও। দেশীয় উৎপাদন এবং কর্মসংস্থানকে উৎসাহিত করতেই এই ভাবনা বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
সূত্রের খবর, যে সমস্ত পণ্যে শুল্ক বাড়ানো হতে পারে তার মধ্যে রয়েছে পোশাক, পোশাক তৈরির কাপড় এবং তন্তু। এই মুহূর্তে পণ্যগুলিতে শুল্ক ৫-১০ শতাংশের মধ্যে। তা বাড়িয়ে ২০% করা হতে পারে। শীঘ্রই বিষয়টি নিয়ে নির্দেশিকা জারি করতে পারে অর্থ মন্ত্রক। তবে সংসদের অধিবেশন চালু থাকায় আগে প্রস্তাবটি সেখানে পেশ করতে হবে।
গত বছরের ১ জুলাই জিএসটি কার্যকর হওয়ার পরে বিভিন্ন ক্ষেত্রের পাশাপাশি বস্ত্র শিল্পের কারবারিদের মধ্যেও ক্ষোভ ছড়িয়েছিল। উত্তপ্ত হয়েছিল মোদীর রাজ্য গুজরাতের সুরাত-সহ বিভিন্ন জায়গা। বাদ ছিল না পশ্চিমবঙ্গও। ই-ওয়ে বিল নিয়েও অসন্তোষ রয়েছে এই শিল্পের। কারণ কাপড়, বোতাম-সহ নানা কাঁচামাল পরিবহণ করতে হয় কারখানা থেকে। প্রত্যেক বারই লাগে ই-ওয়ে বিল।
উদ্যোগ
• ইতিমধ্যে ৫০টি পণ্যে বেড়েছে আমদানি শুল্ক।
• বাড়ানো হতে পারে আরও ৩০০টি পণ্যে।
• উদ্দেশ্য, দেশীয় শিল্পকে চাঙ্গা করা। জিএসটি ও ই-ওয়ে
বিল নিয়ে অসন্তুষ্ট বস্ত্র শিল্পের ক্ষোভ কমানো।
• বাড়তে পারে কর্মসংস্থানও।
বিরোধীদের বক্তব্য, দেশে যে সব ক্ষেত্রে সব চেয়ে বেশি কর্মসংস্থান হয় তার প্রথম সারিতেই আছে বস্ত্র শিল্প। যার বড় অংশ জুড়ে রয়েছে ছোট কারখানা। জিএসটির ধাক্কায় তাদের প্রায় সকলেরই হাত পুড়েছে। যেখানে কেন্দ্রের তথ্যই বলছে কর্মসংস্থানের পরিস্থিতি সুবিধের নয়, সেখানে বস্ত্র শিল্পকে সুরাহা দেওয়া হচ্ছে না কেন? ক্ষোভে প্রলেপ দিতে জুলাইয়ে ৫০টির বেশি পণ্যে আমদানি শুল্ক দ্বিগুণ করে কেন্দ্র। এ বার আরও কিছু পণ্যে একই পদক্ষেপ করা হতে পারে।