প্রতীকী ছবি।
কাঁচামালের জোগান বাড়বে শীঘ্রই। আর তার হাত ধরেই বছর দুয়েকের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের প্লাস্টিক শিল্পে প্রায় ১,৫০০ কোটি টাকা লগ্নির আশা করছে সংশ্লিষ্ট শিল্পমহল।
প্লাস্টিক শিল্পে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও নতুন নতুন ভাবনা তুলে ধরতে ফেব্রুয়ারি মাসে গুজরাতের গাঁধীনগরে বসবে শিল্প সম্মেলন ‘প্লাস্টইন্ডিয়া ২০১৮’। এর জাতীয় কর্মসমিতির চেয়ারম্যান রাজীব চিতালিয়ার দাবি, ভারতের পাশাপাশি ৪০টি দেশের সংস্থা সেখানে এই শিল্পের নতুন দিকগুলি তুলে ধরবে। অনুষ্ঠানের কথা জানানোর ফাঁকে শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গে এই ক্ষেত্রে লগ্নির সম্ভবনা ব্যাখ্যা করেন সংশ্লিষ্ট শিল্পের অন্যতম কর্তা কে কে সেকসরিয়া, অলোক টিবরেওয়াল প্রমুখ।
শিল্প-কর্তাদের দাবি, বিশ্বে বছরে মাথাপিছু প্লাস্টিকের ব্যবহার প্রায় ২৫ কেজি। অথচ ভারতে মাত্র ১২ কেজি। রাজ্যে ৫ কেজি। যেখানে চিন ছুঁয়েছে ৩০ কেজি। আর এতটা পিছিয়ে থাকাতেই ভারত ও রাজ্যে ব্যবসা বৃদ্ধির সম্ভাবনা খুঁজে পাচ্ছেন তাঁরা।
তবে পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্বাঞ্চলে মূলত কাঁচামাল জোগানের অভাবেই পেট্রোকেমিক্যালসের অনুসারী প্লাস্টিক শিল্প সম্ভাবনার সদ্ব্যবহার করতে পারছে না বলে অভিযোগ। কারণ বেশির ভাগ পেট্রোকমিক্যালস সংস্থা পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। সেখান থেকে পাওয়া পলিপ্রপিলিনের (যা অনুসারী প্লাস্টিক শিল্পের কাঁচামাল) জোগানও তাই ওই অঞ্চলেই বেশি। ফলে দেশে এই শিল্পের ব্যবসা বার্ষিক প্রায় ২.৫ লক্ষ কোটি টাকার হলেও, পূর্বাঞ্চলের অংশীদারি মাত্র ৯%।
হলদিয়া পেট্রোকেমের পাশাপাশি পারাদীপে ইন্ডিয়ান অয়েল ও অসমে ব্রহ্মপুত্র ক্র্যাকার্স অ্যান্ড পলিমার্সের নতুন পেট্রোকেমিক্যালস কারখানা অবশ্য শীঘ্রই চালু হবে। শিল্পের আশা, তখন পূর্বাঞ্চলে কাঁচামালের জোগান দ্বিগুণ হবে। তারা জানান, সেই সূত্রেই প্লাস্টিক শিল্পে প্রায় ১,৫০০ কোটি লগ্নি হবে। বাড়বে কর্মসংস্থানও।