ভারতে উৎপাদন বাড়ানোয় উৎসাহ দিতে অ্যাপলকে ফোন তৈরির কিছু যন্ত্রাংশ কর ছাড়াই আমদানির অনুমতি দিল কেন্দ্র।
ধাপে ধাপে তারা ভারত থেকে ষন্ত্রাংশ কেনা বাড়াবে, সেই শর্তেই অ্যাপলকে এই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি ও ইলেকট্রনিক্স দফতরের সচিব অরুণা সুন্দররাজন বলেন, ‘‘যে-সব যন্ত্রাংশ ভারতে তৈরি করা যায় না, সেগুলিতেই আমদানি শুল্কে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। তবে ধীরে ধীরে বাড়াতে হবে স্থানীয় উৎপাদকদের কাছে যন্ত্রাংশ কেনা।’’ তবে সচিব জানান, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার দিক থেকে দু’পক্ষের মধ্যে কিছুটা মতান্তর রয়েছে। অ্যাপলের পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য অবশ্য এ দিন পাওয়া যায়নি।
কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ মঙ্গলবার জানান, বেঙ্গালুরুতে আই ফোনের উৎপাদন বাড়াতে চায় মার্কিন সংস্থাটি, তাই এই করছাড়। চুক্তির ভিত্তিতে সেখানে তাইওয়ানের সংস্থা উইসট্রনের কারখানায় গত সপ্তাহেই আই ফোন-এসই তৈরি শুরু করেছে অ্যাপল। চিনের বাজার পড়তির দিকে বলে ভারতের মতো দেশকেই পাখির চোখ করছে অ্যাপল।
আরও পড়ুন: পেমেন্টস ব্যাঙ্ক চালু পেটিএমের
ভারতে উৎপাদন বাড়াতেই অ্যাপল ১৫ বছরের জন্য সব যন্ত্রাংশে আমদানি শুল্ক-ছাড় দাবি করেছিল। কিন্তু তা ফিরিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় সরকারের একটি মন্ত্রিগোষ্ঠী। তার বদলে ধাপে ধাপে যন্ত্রাংশ কেনা বাড়ানোর শর্তে এই ছাড় দিল কেন্দ্র।
নোকিয়া-অ্যাপল বিবাদ মিটল: নিজেদের মধ্যে আইনি বিরোধ মেটাল অ্যাপল ও নোকিয়া। পেটেন্ট ভাঙা সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় কয়েক বছর ধরে জড়িয়ে পড়ে দুই সংস্থা। এক সময়ে বিশ্বে মোবাইল ফোন তৈরিতে প্রথম স্থানে থাকা নোকিয়া বর্তমানে টেলিকম নেটওয়ার্ক পরিষেবায় যুক্ত। এই রফার পরে নোকিয়ার প্রধান আইনি অফিসার মারিয়া বার্সেলোনা জানান, ‘‘এখন আর আদালতে লড়তে হবে না। বাণিজ্য সহযোগী হিসেবে কাজ করব আমরা।’’ বহু সংখ্যক পেটেন্ট হাতে থাকা নোকিয়া জানিয়েছে, এই রফাসূত্রের ভিত্তিতে তাদের হাতে বাড়তি অর্থ আসবে।