সংস্কারের সুফল ইতিমধ্যেই পৌঁছতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষের দরজায়। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে বৃদ্ধির চড়া হার ধরে রাখার পাশাপাশি সকলকে উন্নয়নে সামিল করতে আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে ভারতকে। এ দেশের অর্থনীতির হাল-হকিকৎ নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের (আইএমএফ) ফার্স্ট ডেপুটি এমডি ডেভিড লিপ্টন।
তাঁর মতে, যে ভাবে বাধা টপকে জিএসটি চালু হয়েছে বা হাঁটা হয়েছে বিভিন্ন সংস্কারের রাস্তায়, তা কৃতিত্বের দাবি রাখে। এর সুফল হিসেবেই এই অর্থবর্ষে ৭.৪% ও পরেরবার ৭.৮% বৃদ্ধির দরজায় কড়া নাড়ার জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে ভারত।
কিন্তু লিপ্টনের প্রশংসার মধ্যেও অনেকের প্রশ্ন, খাতায়-কলমে বৃদ্ধির হার বাড়ছে ঠিকই। কিন্তু তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে কোথায়? আর কর্মসংস্থানই যদি মুখ থুবড়ে পড়ে, তবে সে দেশে সকলের জন্য উন্নয়ন কিংবা আর্থিক বৈষম্য কমানোই বা কী ভাবে সম্ভব?
শংসাপত্র
• বহু টানাপড়েন পেরিয়ে অবশেষে জিএসটি চালু
• আর্থিক সংস্কারের সুফল পৌঁছচ্ছে মানুষের দরজায়
• ব্যাঙ্কে বহু দিনের জমে থাকা সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ
• আর্থিক পরিষেবা সকলের কাছে পৌঁছতে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে জোর
করণীয়
• ঘাটতিতে রাশ টানায় জোর
• ঢেলে সাজাতে হবে ব্যাঙ্কের পরিচালন ব্যবস্থা
• ঋণ খেলাপ বন্ধ করা
• বৃদ্ধি ও আর্থিক উন্নয়নের সুফল সমাজের সব স্তরে পৌঁছে দেওয়া
আইএমএফ-ও মনে করিয়ে দিয়েছে যে, দীর্ঘ মেয়াদে বিশ্বে অন্যতম প্রধান আর্থিক শক্তি হিসেবে উঠে আসতে সংস্কারের ক্ষেত্রেই আরও বেশি মনোযোগী হতে হবে ভারতকে।
লিপ্টনের মতে, ব্যাঙ্কের সমস্যা মেটাতে পুঁজি জোগানোই যথেষ্ট নয়। পরিচালন ব্যবস্থার খোলনলচে বদলে ফেলা জরুরি। প্রয়োজন লাগামছাড়া অনুৎপাদক সম্পদে রাশ টানা। অর্থাৎ, সংস্কারের রাস্তায় টানা পা চালিয়ে যেতে না পারলে, সম্ভাবনা জাগিয়েও পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছে।