ঝোং শান। ছবি: রয়টার্স
ডোকালাম ক্ষত এখনও টাটকা। সীমান্ত বিরোধ মিটে গিয়েছে বলা যাবে না এমনও। কিন্তু তার মধ্যেই বাণিজ্য-যুদ্ধ আর তাকে ঘিরে থাকা আর্থিক স্বার্থ কিছুটা অন্তত কাছাকাছি এনে দিল চিন ও ভারতকে। চিনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে ভারতের উদ্বেগের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে রাজি বেজিং। আবার এই আবহে দিল্লিও প্রস্তাব দিল চিনের বাজার আরও বেশি করে এ দেশের কৃষিপণ্যের জন্য খুলে দিতে। সুযোগ পেয়ে প্রস্তাবের সেই তালিকায় রাখল সয়াবিনও। হালে গাড়ি ও বিমানের পাশাপাশি মার্কিন মুলুক থেকে আসা যে কৃষিপণ্যের উপরে চড়া কর বসানোর হুমকি দিয়েছে চিন।
ভারত সফরে আসা চিনা বাণিজ্যমন্ত্রী ঝোং শান সোমবার বলেন, ‘‘চিনের সঙ্গে বাণিজ্যে ভারতের ঘাটতির দিকে নজর রাখছি। ভারতের লগ্নিকেও স্বাগত জানাচ্ছি।’’
বাণিজ্য মন্ত্রকও জানিয়েছে, চিনা বাজার ভারতের কৃষিপণ্যের জন্য আরও বেশি করে খোলার আর্জি জানিয়েছে তারা। যেমন, রেপসিড, সয়াবিন, চাল, চিনির মতো পণ্য চিনে রফতানির সুযোগ চেয়েছে দিল্লি।
চিনের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি ৫,১১০ কোটি ডলার। পরিস্থিতি বদলাতে তাই চিনকে বাজার আরও বেশি করে খোলার এই আর্জি। মোদী সরকারের বিদেশনীতি নিয়ে আশঙ্কার মেঘ সত্ত্বেও অর্থনীতির প্রয়োজনে দু’দেশ কতটা কাছাকাছি আসতে পারে, সেটাই এখন দেখার।