রাজ্যের কয়েকটি চা বাগান বন্ধ থাকলেও সর্বত্র ছবিটা এত করুণ নয় বলে দাবি চা শিল্পের। বাগান মালিকদের সংগঠন কলসাল্টেটিভ কমিটি অব প্লান্টেশন অ্যাসোসিয়েশন্স (সিসিপিএ)-এর দাবি, বেশির ভাগ বাগানই শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও তাঁদের প্রাপ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়মকানুন মেনেই চলে। তবে একই সঙ্গে তাঁদের সতর্কবার্তা, আর্থিক ভার ক্রমশ চাপ তৈরি করছে এই শিল্পের উপর। সরকারি তরফে সার্বিক ভাবে কিছু ব্যবস্থা না-নেওয়া হলে ফের সঙ্কটে পড়তে পারে এই শিল্প।
এই পরিস্থিতে সিসিপিএ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে কিছু আর্জি জানিয়েছে। সেগুলি হল:
• দ্রুত জমির লিজ পুনর্নবীকরণ
• সেলামি ব্যবস্থার পুনর্মূল্যায়ন। কারণ এই ব্যবস্থা দুর্বল বাগান অধিগ্রহণের পথে অন্তরায় সৃষ্টি করে
• বাগানের খালি জমির বিকল্প ব্যবহারের (পর্যটন, বিকল্প চাষ) মাধ্যমে বাড়তি আয়ের বন্দোবস্ত
• আবাসান-চিকিৎসা পরিষেবা-নিকাশির মতো কিছু সামাজিক দায় কর্তৃপক্ষের বদলে সরকারি হাতে দেওয়া
• কর্মসংস্কৃতি উন্নত করা
• বন্ধ বাগানের আর্থিক পুনর্গঠন
রাজ্যের পাঁচটি চা বাগান বন্ধ। আনাহারে শ্রমিক মৃত্যুর অভিযোগও উঠেছে। সেই সূত্রেই সিসিপিএ-র দাবি, এর উল্টো ছবিও রয়েছে। যেখানে বাগানের শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও প্রাপ্য মেটানোর সূচক অনেক ভাল।
তবে তাদের দাবি, চা তৈরির খরচ উপর্যুপরি বাড়ছে। ফলে বিশ্ব বাজারের প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে ভারতীয় চা। কিন্তু অন্য পণ্যের মতো চায়ের ক্রেতাদের উপর সেই বাড়তি খরচ হস্তান্তরের উপায় নেই চা শিল্পের। অন্য পণ্যের মূল্যবদ্ধির হার অনেক বেশি হলেও চায়ের ক্ষেত্রে তা বার্ষিক ৩ শতাংশ। ডুয়ার্স ও তরাইয়ের অধিকাংশ বাগানের চায়ের দামই নিলামের গড় দামের চেয়ে কম। ফলে সে অর্থে বলতে গেলে তারা কিছুটা সঙ্কটজনক অবস্থাতেই রয়েছে।