উৎসবের মরসুমের দোরগোড়ায় কিছুটা স্বস্তি বয়ে আনল পরিকাঠামো ক্ষেত্রের বৃদ্ধি। অগস্টে যার হার দাঁড়াল ৩.২%। আগের বছরের অগস্টের নিরিখে তা একই হলেও, জুলাইয়ের ৩ শতাংশের (সংশোধিত) তুলনায় একটু বেশি। তবে চলতি অর্থবর্ষের এপ্রিল থেকে অগস্ট, এই পাঁচ মাসের ছবিটা তুলনায় আর একটু উজ্জ্বল। এই সময় পরিকাঠামো বেড়েছে ৪.৫% হারে। যেখানে আগের বছরের ওই সময় তা ছিল ২.৪%।
অগস্টের বৃদ্ধি নিয়ে অবশ্য শিল্প ও বিশেষজ্ঞমহলের মতামত মিশ্র। একাংশ বলছে, বৃদ্ধির হার সামান্য হলেও, আগামী দিনে আরও চাঙ্গা হওয়ার আভাস স্পষ্ট। সম্ভবত অগস্টের শিল্পোৎপাদন বাড়াতেও তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। অন্য অংশের আবার ধারণা, সার্বিক ভাবে তেমন খুশি হওয়ার মতো কিছু ঘটেনি। বরং অগস্টে পরিকাঠামো ক্ষেত্রের পরিসংখ্যান অর্থনীতিতে শিল্প সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডের শ্লথ গতিকেই ফের তুলে ধরছে।
প্রসঙ্গত, দেশের শিল্পোৎপাদনে পরিকাঠামোর আওতাভুক্ত আটটি ক্ষেত্রের অবদান ৩৮%। ফলে শিল্প বৃদ্ধির হার ভাল হতে পরিকাঠামো ক্ষেত্রগুলির উৎপাদন বাড়া জরুরি। বিশেষত গত জুলাইয়ে যেখানে শিল্পোৎপাদন সরাসরি কমেছে ২.৪%।
তা ছাড়া, দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির ঘাড়ে যে বিপুল অনুৎপাদক সম্পদের বোঝা চেপে, তারও বড় অংশ পরিকাঠামো সংস্থাগুলির অবদান। কারণ, তারা এ ধরনের বিভিন্ন প্রকল্প গড়ার জন্য ঋণ নিয়েও শোধ করতে পারেনি দেশ জুড়ে আর্থিক কর্মকাণ্ড শ্লথ হয়ে পড়ায়। বহু প্রকল্প বন্ধ। অনেকগুলি আবার অর্ধেক হয়ে পড়ে। কাজেই পরিকাঠামো যত মুখ তুলবে, ধার ফেরত পাওয়ার আশায় তত হাঁপ ছাড়বে ব্যাঙ্কগুলি।
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, প্রধানত ইস্পাত, সার, সিমেন্টের উৎপাদন বাড়াই অগস্টে পরিকাঠামো বৃদ্ধির কারণ। উৎপাদন বেড়েছে পেট্রোপণ্য, বিদ্যুতেরও। তবে লগ্নিকারীদের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি করে মার খেয়েছে কয়লা, অশোধিত তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস। তিনটির উৎপাদনই সরাসরি নেমেছে।