সরকারি তথ্যে আস্থা নেই, খোঁজ বিকল্পের 

সরকারি তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা এ দেশে নতুন নয়। কিন্তু সম্প্রতি দু’টি ঘটনার পরে তা মাথাচাড়া দিয়েছে আরও বেশি করে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ মে ২০১৯ ০২:২৯
Share:

কখনও ধামাচাপা দেওয়া থাকছে বেকারত্ব নিয়ে ‘অস্বস্তির’ রিপোর্ট। কখনও সংশোধনের সময়ে বৃদ্ধির হার লাফিয়ে বাড়ছে অনেকখানি। আর এই সমস্ত কারণেই সরকারি আর্থিক পরিসংখ্যান সম্পর্কে দ্রুত আস্থা কমছে লগ্নিকারী ও অর্থনীতিবিদদের। এতটাই যে, বাধ্য হয়ে এখন নিজেদের জন্য বিকল্প পরিসংখ্যান তৈরির পথে হাঁটছে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংস্থা। অনাস্থার এই ছবি হালে উঠে এসেছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের সমীক্ষায়।

Advertisement

সরকারি তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা এ দেশে নতুন নয়। কিন্তু সম্প্রতি দু’টি ঘটনার পরে তা মাথাচাড়া দিয়েছে আরও বেশি করে। প্রথমত, পরিসংখ্যান মন্ত্রকেরই এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, যে তথ্যভাণ্ডারের উপরে নির্ভর করে জিডিপি হিসেব করা হয়, খোঁজ মিলছে না তাতে নাম থাকা ৩৬% সংস্থার। প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে তার ভিত্তিতে হিসেব হওয়া জিডিপি ও বৃদ্ধির হার ঠিক হবে কী করে?

দ্বিতীয়ত, ডিসেম্বরে সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়ে যাওয়া এক রিপোর্টে দেখা গিয়েছিল, এনএসএসও ছাড়পত্র দেওয়ার পরেও নতুন কাজের সুযোগ তৈরির হিসেব প্রকাশ করেনি কেন্দ্র। তাতে ছিল, নোটবন্দির পরে দেশে বেকারত্ব ছিল ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে অর্থনীতিবিদ ও লগ্নিকারীদের নিয়ে করা রয়টার্সের সমীক্ষায় উঠে এসেছে অনাস্থার ছবি। সরকারি জিডিপি এবং বৃদ্ধির হারের উপরে ভিত্তি করে ব্যবসা ও লগ্নি কৌশল ঠিক করে বিভিন্ন সংস্থা। কিন্তু তাতে আস্থা কমায় এখন নিজেদের মতো করে বিকল্প খুঁজছে তারা। যেমন, অ্যাবারডিন স্ট্যান্ডার্ড ইনভেস্টমেন্টসের মুখ্য অর্থনীতিবিদ জেরেমি লসন জানান, গাড়ি বিক্রি, বিমান চলাচল ইত্যাদিতে ভর করে বিকল্প সূচক তৈরি করেছেন তাঁরা। সরকারি তথ্যে বিচ্যুতির ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ২০১৪ থেকে কখনও বৃদ্ধি লাফিয়ে বাড়ার প্রবণতা তাঁদের সূচকে ধরা পড়েনি।

অনেকে বলছেন, চড়া বৃদ্ধির কারণে বিদ্যুতের চাহিদা লাফিয়ে বাড়বে ধরে নিয়ে এক সময়ে পস্তেছে সংস্থাগুলি। দ্রুত বিক্রির আশায় শুধু দিল্লির আশেপাশে তৈরি হওয়া প্রায় ৫ লক্ষ ফ্ল্যাট বিক্রি হতে ৩-৪ বছর লেগে যাবে বলে আবাসন শিল্পের আশঙ্কা। সরকারি তথ্যে স্বচ্ছতার প্রয়োজনীয়তার কথা আগে বলেছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন এবং আইএমএফের মুখ্য অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন