চশমা বিপনী সংস্থা লেন্সকার্টের আইপিও ঘিরে চড়ছে প্রত্যাশার পারদ। — প্রতীকী ছবি।
শেয়ার বাজারে আসছে লেন্সকার্ট। সেই লক্ষ্যে নিয়ম মেনে ‘ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং’ বা আইপিও এনেছে গুরুগ্রামের এই চশমা বিপণি সংস্থা। এতে বিনিয়োগ করতে লাগবে কত টাকা? কেমন থাকছে লটের আকার? ইতিমধ্যেই তা ঘোষণা করে দিয়েছে লেন্সকার্ট। ধূসর বাজারে সংশ্লিষ্ট আইপিওটির দাম যে ভাবে চড়ছে, তাতে তালিকাভুক্তির দিনে মোটা টাকা মুনাফা হবে বলে আশাবাদী বিশ্লেষকদের একাংশ।
আগামী শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর লগ্নিকারীদের জন্য খুলবে লেন্সকার্ট আইপিওর উইন্ডো। ৪ নভেম্বর পর্যন্ত এতে আবেদন করতে পারবেন তাঁরা। আগামী ৬ নভেম্বর শেয়ার বরাদ্দ চূড়ান্ত করবে সংশ্লিষ্ট চশমা বিপণি সংস্থা। এর পর ১০ নভেম্বর সকালে বম্বে এবং ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে এর তালিকাভুক্তি হবে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, লগ্নিকারীদেন জন্য আইপিওতে শেয়ারপ্রতি মূল্য ৩৮২-৪০২ টাকা ধার্য করেছে লেন্সকার্ট। সংশ্লিষ্ট প্রাইস ব্যান্ডের উপরের প্রান্তটিকে ধরে বাজার থেকে ৭২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা তোলার পরিকল্পনা করেছে গুরুগ্রামের এই সংস্থা। আইপিওটিতে ২,১৫০ কোটি টাকার নতুন স্টক ইস্যু করবে তারা। এর মধ্যে অফার ফর সেল বা ওএফএস বিভাগে প্রোমোটার-সহ অন্যান্য অংশীদাররা বাজারে ছাড়বেন ১২.৭৫ কোটি ইক্যুইটি।
শেয়ার বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, বর্তমানে ধূসর বাজারে ৪৭৯ টাকায় চলছে লেন্সকার্টের শেয়ারের লেনদেন। অর্থাৎ আইপিও উইন্ডো খোলার আগেই এর দাম চড়েছে ১৮.১৫ শতাংশ। এই সূচক আরও ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে তালিকাভুক্তির সময়ে লগ্নিকারীরা যে বিপুল লাভ করবেন, তা বলাই বাহুল্য।
গুরুগ্রামের চশমা বিপণি সংস্থাটির আইপিওর অফার ফর সেলে স্টক বিক্রি করবেন এর প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রবর্তক পীয়ূষ বনসল, নেহা বনসল, অমিত চৌধরী এবং সুমিত কাপাহি। এ ছাড়া প্রধান অংশীদারদের মধ্যে বাজারে শেয়ার ছাড়বে সফ্টব্যাঙ্কের এসভিএফ টু লাইটব্লাব (ক্রেম্যান), শ্রোডার্স ক্যাপিটাল, পিআই অপারচুনিটিজ় ফান্ড, কেদারা ক্যাপিটাল ফান্ড এবং আলফা ওয়েভ ভেঞ্চার। এদের মধ্যে শ্রোডার্স ক্যাপিটাল আবার তাদের হাতে থাকা ১.৯ কোটি স্টক পুরোপুরি ভাবে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। লেন্সকার্টের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
বর্তমানে চশমা বিপণি সংস্থাটির ১.১৩ শতাংশ অংশীদারি আছে শ্রোডার্সের কাছে। ২০১০ সালে অনলাইনে চশমা বিক্রির মাধ্যমে পথ চলা শুরু করে লেন্সকার্ট। পরবর্তী সময়ে দেশের শীর্ষ চশমার ব্র্যান্ড হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে গুরুগ্রামের এই স্টার্টআপ। ট্র্যাকএক্সএন-এর পরিসংখ্যান তুলে ধরে সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এ বছরের সেপ্টেম্বরে লেন্সকার্টের বাজার মূল্য ছিল ৬১০ কোটি ডলার।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার ডট কম কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)