১০০ টাকার এসআইপিতে রয়েছে কোটিপতি হওয়ার সুযোগ, বলছেন বিশ্লেষকেরা। — প্রতীকী ছবি।
প্রতি মাসে মাত্র ১০০ টাকা করে লগ্নি। আর তাতেই খুলতে পারে ভাগ্যের চাকা। এই বিনিয়োগে রয়েছে লাখ বা কোটিপতি হওয়ার সুযোগ! সৌজন্যে ‘সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান’ বা এসআইপি। তবে এর মাধ্যমে সম্পদ-তহবিল মোটা করতে হলে সুশৃঙ্খল ভাবে দিয়ে যেতে হবে টাকা। কী ভাবে মাসে মাসে ১০০ টাকা বিনিয়োগে বড় তহবিল তৈরি করতে পারবেন গ্রাহক? আনন্দবাজার ডট কম-এর এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিস।
বর্তমানে মিউচুয়াল ফান্ডে দু’ভাবে লগ্নি করতে পারেন গ্রাহক। একটি হল লাম্পসাম, অপরটির নাম এসআইপি। দ্বিতীয়টির নিয়ম খানিকটা ব্যাঙ্ক বা ডাকঘরের ‘রেকারিং ডিপোজ়িট’ বা আরডি-র মতো। অর্থাৎ এতে প্রতি মাসের সুনির্দিষ্ট তারিখে কিছু টাকা লগ্নি করতে হবে বিনিয়োগকারীকে। তবে আরডির মতো এসআইপিতে সুদের হার নির্দিষ্ট নয়।
একটি উদাহরণের সাহায্যে বিষয়টি বুঝে নেওয়া যেতে পারে। কোনও ব্যক্তি যদি ২৫ বছরের জন্য এসআইপি করেন, তা হলে মোট ৩০ হাজার টাকা জমা করবেন তিনি। শেয়ার বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করে আর্থিক বিশ্লেষকদের দাবি, এতে ন্যূনতম ১২ শতাংশ সুদ পেতে পারেন ওই বিনিয়োগকারী। সে ক্ষেত্রে ২৫ বছর পর তাঁর তহবিলের পরিমাণ দাঁড়াবে ১ লক্ষ ৭০ হাজার ২২১ টাকা। অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট এসআইপি থেকে সুদ বাবদ ১ লক্ষ ৪০ হাজার ২২১ টাকা পাবেন ওই ব্যক্তি।
উল্লেখ্য, এসআইপিতে সুদের হার ১২ শতাংশের বেশিও হতে পারে। তবে সেটা সব সময়ই নির্ভর করবে বাজার সূচকের ওঠা-নামার উপর। ‘সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান’-এর দ্বিতীয় সুবিধা হল, এতে চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ে টাকার অঙ্ক। আর তাই ১২ শতাংশ সুদের হারে ২৫ বছর পর রিটার্ন বাবদ ১ লক্ষ ৮৯ হাজার টাকা ফেরত পেতে পারেন তিনি। সুদের হার ১০ শতাংশে নেমে গেলে তহবিলের আকার দাঁড়াবে ১ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা। আবার সেটা ১৪ শতাংশ হলে ২ লক্ষ ৯২ হাজার টাকায় পৌঁছোবে তহবিল।
আর্থিক বিশ্লেষকদের পরামর্শ হল, ১০০ টাকা দিয়ে এসআইপি শুরু করে পরবর্তী বছরগুলিতে গ্রাহকের সেটা ৫০০ বা হাজার টাকায় নিয়ে যাওয়া উচিত। তা হলে মাত্র ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে তাঁর হাতে আসবে মোটা তহবিল। সেখান থেকে পুনরায় বিনিয়োগ করে নিজের আর্থিক অবস্থা মজবুত করতে পারবেন ওই ব্যক্তি।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই এই তহবিলে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার ডট কম কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)