অরুণ জেটলি।
পেট্রোল-ডিজেলের দাম নিয়ে বিরোধীদের চাপের মুখে পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
তেলের চড়া দাম নিয়ে বিরোধী দলগুলি নিশানা করছে মোদী সরকারকে। তার জবাবে এ বার জেটলির যুক্তি, পেট্রোল-ডিজেলের উপর কর থেকে যে-রাজস্ব আয় হয়, তার ৪২ শতাংশই রাজ্যগুলির মধ্যে বিলি করে দেওয়া হয়। কংগ্রেস-বাম নেতাদের পাল্টা আক্রমণ করে জেটলির তোপ, ‘‘কংগ্রেস-সিপিএম শাসিত রাজ্যগুলি তা হলে বলে দিক, ওদের এই করের ভাগ চাই না।’’
জেটলির আক্রমণ থেকে রক্ষা পায়নি বিজেপি বা এনডিএ-শরিক দল শাসিত রাজ্য সরকারও। জেটলি আজ যুক্তি দিয়ে অভিযোগ এনেছেন, ‘‘মনে রাখা উচিত, দু’বছর আগে যখন ১৫ দিন অন্তর তেলের দাম বদল হত, তখন পেট্রোলের দাম কমানো হলেই দিল্লি, হরিয়ানা, পঞ্জাব ও হিমাচল প্রদেশ সরকার একই হারে যুক্তমূল্য কর বা ভ্যাট বাড়িয়ে দাম একই রেখে দিত।’’ উল্লেখ্য, হরিয়ানা ২০১৪ থেকেই বিজেপির দখলে। পঞ্জাবেও কিছু দিন আগে পর্যন্ত অকালি দল-বিজেপি জোটেরই সরকার ছিল।
পেট্রোল-ডিজেলের চড়া দামের পরিপ্রেক্ষিতে মূলত কেন্দ্র কেন উৎপাদন শুল্ক কমিয়ে আমজনতাকে রেহাই দিচ্ছে না, সেই প্রশ্ন উঠেছে। কেন্দ্র চাইছে, রাজ্যগুলি নিজেদের শুল্ক কমাক। আজও জেটলি যুক্তি দেন, কেন্দ্র যদি কর আদায় না-করে তা হলে পরিকাঠামোয় খরচের অর্থ কোথা থেকে আসবে! যা থেকে স্পষ্ট, উৎপাদন শুল্ক কমানোর পরিকল্পনা কেন্দ্রের নেই। উল্টে জেটলির যুক্তি, রাজ্যগুলিও তেলের উপর যথেষ্ট পরিমাণে ভ্যাট আদায় করছে। তবে তেলের দাম বাড়ার বিষয়টি সাময়িক বলেই মত অর্থমন্ত্রীর। তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘আমেরিকায় হারিকেন ইরমা-র জেরে শোধনাগারগুলির উৎপাদন ধাক্কা খেয়েছে। ফলে চাহিদা-জোগানের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে।’’
বিরোধীরা অবশ্য তা মানতে নারাজ। আজও দিল্লিতে আম আদমি পার্টি তেল মন্ত্রকের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। কংগ্রেস আগামী কাল দিল্লিতে মানব-শৃঙ্খল তৈরি করবে। তবে জেটলি বলছেন, ‘‘যাঁরা মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে অভিযোগ তুলছেন, তাঁরা ভুলে যাচ্ছেন, ওই হার এখন ৩.৩%। বর্ষায় আনাজের দর সাধারণত বাড়ে। তা সত্ত্বেও মূল্যবৃদ্ধির হার এত কম।’’