Jawaharlal Nehru's Letter

‘প্রধানমন্ত্রীর নথি ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়’, নেহরুর চিঠি ফেরত চেয়ে সনিয়াকে বার্তা দিল কেন্দ্র

ইউপিএ জমানায় কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া দিল্লির প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহশালা (তৎকালীন নেহরু সংগ্রহশালা) নেহরুর কিছু চিঠিপত্র নিয়ে যান বলে গত বছর বিজেপি অভিযোগ তুলেছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ২২:৪৩
Share:

(বাঁ দিকে) জওহরলাল নেহরু এবং সনিয়া গান্ধী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর নথি কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি হতে পারে না। বুধবার এ কথা জানিয়ে অবিলম্বে জওহরলাল নেহরুর ৫১টি বাক্সবোঝাই চিঠি সরকারের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য সনিয়া গান্ধীকে চিঠি পাঠাল কেন্দ্র। তিন মূর্তি ভবনে অবস্থিত প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহশালা ও গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষের হাতে চিঠিগুলি তুলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রীকে।

Advertisement

ইউপিএ জমানায় কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া দিল্লির প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহশালা (তৎকালীন নেহরু সংগ্রহশালা) নেহরুর কিছু চিঠিপত্র নিয়ে যান বলে গত বছর বিজেপি অভিযোগ তুলেছিল। ওই সব চিঠির মধ্যে নেহরুর সঙ্গে এডুইনা মাউন্টব্যাটেনের চিঠিপত্রও ছিল বলে বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ করেছিলেন। যদিও মঙ্গলবার মোদী সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াতই লোকসভায় জানান, প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহশালা ও গ্রন্থাগার থেকে কোনও কাগজ বা চিঠিপত্র খোয়া যায়নি।

কেন্দ্রের যুক্তি, চিঠিগুলি সংগ্রহশালায় নেই ঠিকই, কিন্তু সেগুলির ‘অবস্থান’ জানা। তাই সেগুলি ‘খোয়া গিয়েছে’ বলা যাবে না। ওই চিঠিগুলি রয়েছে সোনিয়ার কাছে। চিঠিগুলি ফেরত চেয়ে দু’বার প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহশালা ও গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ (যার সভাপতি স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী) সোনিয়াকে চিঠিও লিখেছেন। কিন্তু এখনও চিঠিগুলি ফেরত দেওয়া হয়নি। গজেন্দ্র বুধবার এ প্রসঙ্গে নিশানা করেছেন সোনিয়াকে। তিনি বলেন, “কী লুকোনো হচ্ছে? নেহরুর ওই চিঠিগুলি কেন প্রকাশ্যে আনা হবে না? গোটা দেশ জানতে চাইছে। যে অজুহাত সোনিয়া গান্ধী দিচ্ছেন, তা গ্রহণযোগ্য নয়। প্রথম প্রধানমন্ত্রীর লেখা চিঠি ব্যক্তিগত সম্পত্তি হতে পারে না।’’ তাঁর দাবি, ইউপিএ সরকারের আমলে তিন মূর্তি পরিচালন সমিতির সদস্য এমভি রাজন সুপারিশ করেন, নেহরুর ব্যক্তিগত চিঠিপত্রগুলি যেন গান্ধী পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেই মতো সেগুলি সনিয়ার কাছে হস্তান্তরিত হয়েছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement