দিল্লির বায়ুদূষণ নিয়ে একাধিক মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। ছবি: পিটিআই।
দিল্লি এবং জাতীয় রাজধানী অঞ্চল (এনসিআর)-এর বায়ুদূষণ রুখতে সরকারি পদক্ষেপ ‘পুরোপুরি ব্যর্থ’। বুধবার এই সংক্রান্ত একটি মামলায় এমনই মৌখিক পর্যবেক্ষণের কথা জানাল সুপ্রিম কোর্ট। সংবাদসংস্থা এএনআই-এর প্রতিবেদন অনুসারে, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্তের বেঞ্চ জানিয়েছে, দূষণ রুখতে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের পরিবর্তে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন।
দিল্লির বায়দূষণ রুখতে সরকারি পদক্ষেপ যথাযথ নয়, এই অভিযোগ তুলে একাধিক মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। বুধবার সেই মামলার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে। জাতীয় সড়়ক কর্তৃপক্ষ এবং দিল্লি পুরনিগমকে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের নির্দেশ, যান চলাচল স্বাভাবিক রেখে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে ন’টি টোল প্লাজ়া হয় অস্থায়ী ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হোক, না হলে সেগুলি সরিয়ে দেওয়া হোক।
দিল্লিতে ঢোকার মুখে ওই টোল প্লাজ়া গুলি রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ওই টোল প্লাজাগুলির আগে এবং পরে দীর্ঘ গাড়ির সারি দিল্লিতে যানজট বাড়াচ্ছে। আর গাড়ি থেকে নির্গত ধোঁয়ায় বায়দূষণ আরও বাড়ছে।
বায়ুদূষণের হাত থেকে শিশুদের রক্ষা করতে স্কুলে নার্সারি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি সরকার। দিল্লি সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলা হলেও স্কুলগুলিতে শীতকালীন অবকাশ শুরু হওয়ার সময় হয়ে যাওয়ায় এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেনি সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত বিষয়টিকে অস্থায়ী পদক্ষেপ হিসাবেই দেখছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, “স্কুলগুলিতে এমনিতেই শীতে ১০ থেকে ১৫ দিনের ছুটি পড়ে। তাই এই পদক্ষেপকে ছুটির মেয়াদবৃদ্ধি হিসাবে দেখা যেতে পারে।”