মার্চে রাজ্য জুড়ে ভাল বৃষ্টি হয়েছে। আর এখন পাটের বীজ বোনার সময়। সরকারি ভাবে পরীক্ষিত বীজ ভর্তুকিতে পাচ্ছেন বহু চাষি। শুধু তা-ই নয়, গত মরসুমে পাটের ভাল দাম পাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যে বেশি জমিতে চাষ করছেন পাট চাষিরা। ফলে এই মরসুমে কমপক্ষে ৮০ লক্ষ বেল কাঁচা পাট উৎপাদন হতে পারে বলে বস্ত্র মন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট জমা পড়েছে। যার ৮০% উৎপাদনই হবে পশ্চিমবঙ্গে। সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, শেষ মরসুমের চেয়ে এ বছর ৮-১০ লক্ষ বেল বেশি উৎপাদন হবে।
পাটের উৎপাদন ও বাজারের চাহিদা বুঝতে কলকাতায় সম্প্রতি পাট পরামর্শদাতা পর্ষদের বৈঠক হয়। বস্ত্র মন্ত্রকের সচিব রাঘবেন্দ্র সিংহ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। জুট কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া (জেসিআই), ডিরেক্টরেট অব জুট ডেভেলপমেন্ট, চটকল মালিকদের সংগঠন আইজেএমএ-র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মনে করা হচ্ছে, এ বার সারা দেশে কমপক্ষে ৮০ লক্ষ বেল কাঁচা পাট উৎপাদন হতে পারে। সূত্রের খবর, উৎপাদন আরও বেশি হতে পারে বলে বৈঠকে জানিয়েছিল জেসিআই ও জুট ডিরেক্টরেট। জেসিআই বলেছিল উৎপাদন হতে পারে ৮৪ লক্ষ বেল। জুট ডিরেক্টরেট বলেছিল ১১২ লক্ষ।
শেষ পর্যন্ত যা-ই হোক না কেন, এ বছরে চটকলগুলিতে জোগানের তেমন ঘাটতি হওয়ার কথা নয় বলেই মনে করছেন মন্ত্রকের কর্তারা। পাশাপাশি পাটের মান ভাল হলে চাষিদেরও ভাল দাম পাওয়ার কথা। তবে পাট শিল্প মহল সূত্রের খবর, বেশি উৎপাদন হলেই বাজারে কৃত্রিম ভাবে চাহিদা কম দেখিয়ে দাম কমানোর পরিস্থিতি তৈরি হয়। শেষ মরসুমেও এই চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু চাষিরা ঝুঁকি নিয়ে কাঁচা পাট ধরে রাখায় শেষ পর্যন্ত ভাল দাম মেলে। ৬৭ লক্ষ বেল পাট কেনে চটকলগুলি। উৎপাদন হয়েছিল প্রায় ৭০ লক্ষ বেল। এ বছর এর মোকাবিলা কী ভাবে করা যায় তা নিয়েই এখন চিন্তিত কর্তারা।