প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গয়াল জেট এয়ারওয়েজের চেয়ারম্যান পদ ছেড়েছেন ২৫ মার্চ। সংস্থার ৫১% শেয়ার হাতে নিয়েছে ঋণদাতারা। প্রশ্ন উঠেছে, তার পরেও সংস্থার হাতে জরুরি ভিত্তিতে পুঁজি এল না কেন? শুক্রবার ঋণদাতাদের সূত্রে অবশ্য পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, জেটের পরিষেবা বন্ধে তাদের কোনও ভূমিকা নেই।
ঋণদাতাদের সূত্রে এ দিন বলা হয়েছে, ‘‘জেট যখন ক্ষতির মুখে পড়েছিল, তখন থেকেই ব্যাঙ্কগুলি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। বলেছে ঘুরে দাঁড়ানোর উপযুক্ত পরিকল্পনা তৈরি করতে। কিন্তু ম্যানেজমেন্ট ও প্রোমোটার সিদ্ধান্ত নিতে যথেষ্ট দেরি করেছে। তার থেকেই তৈরি হয়েছে আজকের পরিস্থিতি।’’ তাদের বক্তব্য, ২৫ মার্চ গয়াল চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেও অংশীদারি বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয় চুক্তি তিনি সই করেছেন এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে। পাশাপাশি, ১ টাকার বিনিময়ে ঋণদাতারা জেটের ৫১% অংশীদারি হাতে নিলেও কিছু কারণে সংস্থার পর্ষদে পরিবর্তন করা সম্ভব হয়নি। তবে অংশীদারি নিলামের জন্য ওই পদক্ষেপ জরুরি ছিল।
ঋণের ভারে ন্যুব্জ জেটের হাতে এখন নিজেদের ১৬টি বিমান রয়েছে। সেগুলি এবং সংস্থার অন্যান্য সম্পদকে কাজে লাগিয়ে কিছু টাকা ঘরে তুলতে চাইছে ঋণদাতারা। আন্তর্জাতিক উড়ানের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ইতিমধ্যেই পাঁচটি বিমান লিজ চেয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। এ দিন সন্ধ্যায় দিল্লিতে স্টেট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান রজনীশ কুমারের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক করেন রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থার চেয়ারম্যান অশ্বিনী লোহানি। ২৭ এপ্রিল এয়ার ইন্ডিয়ার পর্ষদে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। অন্য দিকে, স্পাইসজেটের সিএমডি অজয় সিংহের দাবি, জেটের ৫০০ জন কর্মীকে সংস্থায় নিয়েছেন তাঁরা। এঁদের মধ্যে ১০০ জন পাইলট।
এ দিন ভারতের উড়ান ক্ষেত্রের গোটা ব্যবস্থার সমালোচনা করেছে বিমান সংস্থাগুলির আন্তর্জাতিক সংগঠন আইএটিএ। বলেছে, সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও এখানে স্বাধীন ভাবে ব্যবসা চালানোর সুযোগ কম।