কালো টাকার হদিস পেতে এ বার রিটার্নেও বাড়তি তথ্য চাইবে আয়কর দফতর। গত ৮ নভেম্বর নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পঞ্চাশ দিনের মধ্যে নগদে ২ লক্ষ টাকার বেশি ঋণ ও ক্রেডিট কার্ডের বিল খাতে মেটালে, তা উল্লেখ করতে হবে আয়কর রিটার্নে।
সম্প্রতি আয়কর রিটার্ন জমা দিতে এক পৃষ্ঠার নতুন ফর্ম আনা হয়েছে। ৯ নভেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বাতিল নোটে ২ লক্ষ টাকার বেশি জমা দিলে তা ২০১৬-’১৭ অর্থবর্ষের রিটার্নে আলাদা করে উল্লেখের জায়গা তো থাকছেই। এ বার তারা ওই একই অঙ্কের ধার ও ক্রেডিট কার্ড বিল মেটানোর বিষয়টি রিটার্নে জানানোর কথাও স্পষ্ট করল।
নোট বাতিলের পরে জমা দেওয়া নগদ ও বার্ষিক আয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা দেখতেই এই ব্যবস্থা। দফতর সূত্রে খবর, সব ক্রেডিট কার্ডই করদাতার প্যানের সঙ্গে যুক্ত। আবার, ব্যাঙ্কঋণ নেওয়ার সময়েই দাখিল করতে হয় প্যান। তাই ২ লক্ষ টাকার বেশি ঋণ ও ক্রেডিট কার্ড খাতে জমা পড়লে সহজেই প্যানের তথ্য থেকে দফতর জানতে পারবে, আয়ের সঙ্গে নগদ জমার সঙ্গতি রয়েছে কি না।