Primary Teachers Recruitment Case

৩২ হাজার চাকরি বহালের রায় চ্যালেঞ্জ করে মামলা হলে যেন একতরফা শুনানি না-হয়, সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল পর্ষদের

দুর্নীতির অভিযোগে প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গত বুধবার সেই নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:০৫
Share:

প্রাথমিকের মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পর্ষদ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। কারও চাকরি যাচ্ছে না। হাই কোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করা হলে যেন একতরফা শুনানি না-হয়, সুপ্রিম কোর্টে আগেভাগে সেই আর্জি জানিয়ে রাখল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। শীর্ষ আদালতে শুক্রবার পর্ষদের তরফে একটি ক্যাভিয়েট দাখিল করা হয়েছে। সেখানেই রয়েছে এই আবেদন।

Advertisement

দুর্নীতির অভিযোগে প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গত বুধবার সেই নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ। বলা হয়েছে, দুর্নীতি হলেও এত শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দেওয়া যাবে না। গত ন’বছর ধরে তাঁরা চাকরি করছেন। তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে মানবিক কারণে চাকরি বহাল রেখেছে আদালত। এখনও পর্যন্ত এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে কোনও মামলা হয়নি। তবে সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন ‘বঞ্চিত’ চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ।

অনেক সময় সুপ্রিম কোর্টে মামলা হলে একতরফা ভাবে তার শুনানি হয়ে যায়। প্রাথমিক মামলার ক্ষেত্রে যাতে তা না হয়, নিশ্চিত করতে চায় পর্ষদ। তাই আগেভাগে ক্যাভিয়েট দাখিল করে রাখা হল। পর্ষদ জানিয়েছে, এই সংক্রান্ত মামলা হলে যেন তাদের বক্তব্যও শোনা হয়। এ ক্ষেত্রে মামলা হলে পর্ষদকেও নোটিস দেওয়া হবে। ফলে তারা নিজেদের বক্তব্য জানানোর সুযোগ পাবে।

Advertisement

প্রাথমিক মামলায় ১৪১ পৃষ্ঠার রায়ে হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, নিয়োগপ্রক্রিয়ায় ব্যাপক অনিয়ম হয়নি। কয়েক জন ব্যর্থ চাকরিপ্রার্থী নিজেদের অসন্তোষের কারণে ৩২ হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ নষ্ট করার সুযোগ পেতে পারেন না। এ ভাবে চাকরি বাতিল করলে অনেক নির্দোষ, সৎ শিক্ষককে অকারণে অপমান, লজ্জা ও কলঙ্ক সহ্য করতে হবে। তা ছাড়া, দুর্নীতির তদন্ত এখনও চলছে। চাকরি বাতিল না-করার সেটাও অন্যতম কারণ। আদালত আরও জানিয়েছে, যাঁরা চাকরি পেয়েছেন তাঁরা ব্যক্তিগত ভাবে দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন না। তেমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement