প্রতীকী ছবি।
ভারতকে বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতিগুলির মধ্যে দ্রুততম বৃদ্ধির দেশ হিসেবে তুলে আনার কৃতিত্ব দাবি করে নরেন্দ্র মোদী সরকার। অতীতে মনমোহন সিংহের সরকারও এর ব্যতিক্রম ছিল না। সেই জমানায় বৃদ্ধিকে ৮ শতাংশের গণ্ডি পার করানোর কথা প্রায়ই বলে থাকেন কংগ্রেস নেতারা। বলেন ১০০ দিনের কাজের মতো সামাজিক প্রকল্প চালু করার কথাও। কিন্তু ‘বালতির ছিদ্র’ দিয়ে কী ভাবে জল বেরিয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে এ বার আক্ষেপ করলেন কেন্দ্রের কর্তা।
আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সিইও ইন্দু ভূষণ সম্প্রতি এক কর্মসূচিতে জানিয়েছেন, বিগত কয়েক বছরে সরকার বহু মানুষকে দারিদ্র সীমার বাইরে বার করে এনেছে ঠিকই, কিন্তু চিকিৎসা ব্যয়ের বোঝা বইতে গিয়ে প্রতি বছর নতুন করে ছ’কোটি মানুষ ফের দারিদ্র সীমার নীচে চলে যাচ্ছেন। অর্থাৎ, ঘণ্টায় ৭,০০০!
আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের মাধ্যমে ৫০ কোটি মানুষের চিকিৎসা সুরক্ষিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র। তারই দায়িত্ব রয়েছেন ভূষণ। তাঁর আক্ষেপ, ‘‘ব্যাপারটা যেন বালতির ছিদ্রের মতো। মানুষকে দারিদ্র সীমার বাইরে নিয়ে আসার জন্য অনেক চেষ্টা চলছে। কিন্তু চিকিৎসা খরচের জন্য বহু মানুষ সর্বস্বান্তও হয়ে যাচ্ছেন।’’ উল্লেখ্য, কংগ্রেসের দীর্ঘ শাসনকালে বিভিন্ন ক্ষেত্রেই দেশের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি বলে নিয়মিত আক্রমণ শানায় বিজেপি। স্বাধীনতার ৭০ বছর পরেও কেন বাজেটের ১-১.৪ শতাংশের বেশি স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করা হয় না, সেই প্রশ্নেও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ভূষণও। তিনি আরও জানান, বহু মানুষ বিদেশ থেকে এখানে এসে সস্তায় চিকিৎসা করান। কিন্তু দেশের মানুষের বড় অংশই ভাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার গণ্ডিতে পা রাখতে পারেন না।