গত কয়েক বছর ধরেই দেশের বাজারে চাহিদা বাড়ছে ছোট ‘স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকল’ (কমপ্যাক্ট এসইউভি)-এর। কিন্তু দেশের বৃহত্তম গাড়ি সংস্থা হলেও মারুতি-সুজুকির ভাঁড়ারে ছিল না কোনও এসইউভি-ই। বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই প্রথম কমপ্যাক্ট-এসইউভি ‘ভিতারা ব্রেজা’ আনল সংস্থা।
গাড়ি শিল্প সূত্রের খবর, সাম্প্রতিক কালে যাত্রী গাড়ির বাজারে ‘ইউটিলিটি ভেহিকল’-এর (ইউভি) অংশীদারি ১৫% থেকে বেড়ে হয়েছে ২৩%। এর মধ্যে কমপ্যাক্ট-এসইউভির বাজার ২৫% থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১%। বস্তুত, গাড়ির বাজারে এসইউভি বা কমপ্যাক্ট-এসইউভির এই চাহিদাকে উপেক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না কোনও সংস্থার পক্ষেই। ইতিমধ্যেই ভারতের বাজারে নতুন প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে ফোর্ডের ইকোস্পোর্ট, রেনোর ডাস্টার, হুন্ডাইয়ের ক্রেটা, মহীন্দ্রার টিইউভি-৩০০ এবং এক্সইউভি-৫০০, গাড়িগুলি বাজারে আসার পর থেকেই।
কিন্তু এই ধরনের তেমন কোনও গাড়ি না-থাকায় সেই দৌড়ের বাইরে ছিল মারুতি-সুজুকি। মঙ্গলবার মুম্বইয়ে গাড়িটি আনুষ্ঠনিক ভাবে দেশের বাজারে আনার কথা ঘোষণার পরে সে কথা উঠে আসে সংস্থার এমডি-সিইও কেনিচি আয়ুকায়ার কথাতেও। তিনি বলেন, ‘‘এই ধরনের গাড়ির বাজারে আমাদের উপস্থিতিই ছিল না।’’ সার্বিক ভাবে গাড়িটির বৈশিষ্ট্যের জন্য ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় এটি জায়গা করে নেবে বলেই তাঁদের আশা। গত মাসে দিল্লির অটো-এক্সপোয় অবশ্য প্রথম গাড়িটির আবরণ উন্মোচন করে সংস্থা।
মূল সংস্থা জাপানের সুজুকি-র প্রযুক্তি অনুসরণ করলেও মারুতি-সুজুকির এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর (আর অ্যান্ড ডি) সি ভি রমনের নেতৃত্বে গাড়িটি তৈরি করেছেন এ দেশে সংস্থার ই়ঞ্জিনিয়াররাই। এ জন্য প্রায় ৮৬০ কোটি টাকা ঢেলেছে সংস্থা। ডিজেল-চালিত গাড়িটি লিটারে প্রায় ২৪.৩ কিলোমিটার যাবে বলে দাবি সংস্থার কর্তাদের। ভবিষ্যতে পেট্রোল-চালিত গাড়ি তৈরির ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন তাঁরা। কলকাতায় গাড়িটির দাম শুরু হচ্ছে ৭.৩২ লক্ষ টাকা থেকে।