অ্যান্টিগার অজানা জায়গায় বসে ক্যামেরার সামনে এলেন পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি) জালিয়াতির অন্যতম অভিযুক্ত মেহুল চোক্সী। এবিপি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বললেন, ‘‘সরকারের উপরে প্রবল চাপ রয়েছে। অন্তত এক জনকে যদি ফিরিয়ে আনা না যায়, তা হলে নির্বাচনের হাওয়া ঘুরে যেতে পারে।’’ তাই তাঁকেই সহজ নিশানা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ চোক্সীর। সাক্ষাৎকারে একাধিক বার কেঁদে ফেলেছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘দেশের প্রথম সারির একটি সংস্থার বিনিময়ে পিএনবিকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্র।’’
পিএনবির ভুয়ো লেটার অব আন্ডারটেকিং জমা দিয়ে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে নীরব মোদী, মেহুল চোক্সী এবং তাঁদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) তদন্তে বলা হয়েছে, অন্তত ৩,২৫০ কোটি টাকা বিদেশে সরিয়েছেন চোক্সী নিজে। চোক্সীর অবশ্য বক্তব্য, তদন্তকারী সংস্থাগুলির সমস্ত দাবি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এ দিন বলেছেন, ফেরার আর্থিক অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির মন্তব্য, সংবাদ মাধ্যম যদি জেনেই থাকে চোক্সী কোথায় রয়েছেন, সে ক্ষেত্রে তাদের উচিত সরকারকে তা জানানো। কংগ্রেস যথারীতি বিঁধেছে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর দফতরকে। তাদের অভিযোগ, বিদেশ মন্ত্রক সবুজ সঙ্কেত দেওয়ার জন্যই অ্যান্টিগার পাসপোর্ট পেয়েছেন চোক্সী।