তড়িঘড়ি সব পরিবারে বিদ্যুৎ দিতে প্রকল্প

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়েই প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা। বিরোধীদের অভিযোগ, পুরনো প্রকল্পকেই নতুন মোড়কে ঘোষণা করেছেন মোদী। ২০০৫-এ ইউপিএ সরকারের আনা রাজীব গাঁধী গ্রামীণ বিদ্যুতীকরণ যোজনাকে ২০১৪ সালে নাম বদলে দীনদয়াল উপাধ্যায় গ্রাম জ্যোতি যোজনা করা হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:০২
Share:

লক্ষ্য ছিল ২০১৯ সালের মার্চ মাস। কিন্তু তার আগেই ২০১৮-র ডিসেম্বরের মধ্যে সব পরিবারে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে সোমবার কথা দিলেন নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে গরিবদের ঘরে নিখরচায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেবে কেন্দ্র। সব মিলিয়ে প্রকল্পে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১৬,৩২০ কোটি টাকা। তবে প্রকল্পে কোনও ভর্তুকি দেওয়া হবে না। মাসে মাসে বিল মেটাতে হবে গ্রাহকদের।

Advertisement

তবে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়েই প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা। বিরোধীদের অভিযোগ, পুরনো প্রকল্পকেই নতুন মোড়কে ঘোষণা করেছেন মোদী। ২০০৫-এ ইউপিএ সরকারের আনা রাজীব গাঁধী গ্রামীণ বিদ্যুতীকরণ যোজনাকে ২০১৪ সালে নাম বদলে দীনদয়াল উপাধ্যায় গ্রাম জ্যোতি যোজনা করা হয়। আবার কার্যত নিজেদের সেই প্রকল্পকেই নতুন করে ঘোষণা করলেন মোদী।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী সহজ বিজলী হর ঘর যোজনা বা ‘সৌভাগ্য’ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করে নরেন্দ্র মোদীর অভিযোগ, স্বাধীনতার ৭০ বছর পরেও দেশে মোট ২৫ কোটি পরিবারের মধ্যে ৪ কোটির কাছে বিদ্যুৎ অধরা। সেই কারণেই দ্রুত বিদ্যুদয়নের লক্ষ্যে এগোতে চায় তাঁর সরকার। সমস্ত গ্রামে এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার করা হয়েছে। এর আগে তা ধরা হয়েছিল ২০১৮-র ১ মে। আর, সকলের জন্য নিরবচ্ছিন্ন (২৪ ঘণ্টা x ৭ দিন) বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য সময় ধরা হয়েছে ২০১৯-এর মার্চ। মোদীর কথায়, ‘‘এটা সরকারের ইচ্ছাশক্তিরই প্রতিফলন।’’

Advertisement

নিখরচায় বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য বিভিন্ন পরিবারকে চিহ্নিত করতে কাজে লাগানো হবে ২০১১-র জনগণনা থেকে পাওয়া আর্থ-সামাজিক ও জাতি সংক্রান্ত তথ্য।

মোট বরাদ্দ
বাজেট বরাদ্দ
গ্রামে বরাদ্দ
শহরে বরাদ্দ

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন