—প্রতীকী চিত্র।
শহরের মানুষ কি এখনও পাইপবাহিত রান্নার গ্যাস ব্যবহারের জন্য মানসিক ভাবে তৈরি নন? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজছেন বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি। রান্নাঘরে ব্যবহার্য পাইপের গ্যাস পরিষেবা শুরুর পর তিন সপ্তাহ কাটলেও শনিবার পর্যন্ত কল্যাণী পুরসভার মাত্র ১১টি বাড়িতে সংযোগ দেওয়া গিয়েছে। প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল ১০০টি দেওয়ার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ১১% ছোঁয়া গিয়েছে। কিছুতেই তা বাড়ানো যাচ্ছে না। বেঙ্গল গ্যাসের কর্তারা এ জন্য বেশ কিছু কারণকে চিহ্নিত করেছেন। তার মধ্যে অন্যতম সচেতনতার অভাব। না হলে সিলিন্ডারের থেকে সুরক্ষিত এই গ্যাসের সংযোগ নিতে টালবাহানা কেন, তা বোধগম্য হচ্ছে না তাঁদের। মানুষের কাছে পাইপের গ্যাসকে আকর্ষণীয় করে তুলতে তাই বিভিন্ন পরিকল্পনা করছে সংস্থা। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিনে ১ টাকায় সংযোগ দেওয়া। আনা হবে কিস্তির সুবিধাও।
বেঙ্গল গ্যাসের সিইও অনুপম মুখোপাধ্যায় জানান, ‘‘কেন মানুষ সংযোগ নিচ্ছেন না, তার অনেকগুলি কারণ চিহ্নিত করেছি। এর মধ্যে একটা সচেতনতার অভাব। দ্বিতীয়ত, প্রথমে যাতে তাঁদের কম টাকা দিতে হয়, তার জন্য সম্ভবত ১ জানুয়ারি থেকে একাধিক প্রকল্প আনা হচ্ছে। তাতে অনেকে আগ্রহী হবেন বলেই আশা।’’ শীঘ্রই এই নিয়ে কল্যাণী, গয়েশপুর-সহ একাধিক এলাকায় প্রচারও চালানো হবে বলেও জানান তিনি।
ইতিমধ্যেই কল্যাণীর ১৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ৫০০-র মতো বাড়ির সামনে দিয়ে যে মূল লাইন গিয়েছে, সেটিতে গ্যাস পাঠানো হচ্ছে। ১৫০ বাড়িতে মিটারও বসেছে। কিন্তু তাদের প্রায় কেউই টাকা না দেওয়ায় পরিষেবা চালু হয়নি। সংস্থা চায় এই অর্থবর্ষে ন্যূনতম ৫০০ বাড়িতে সংযোগ দিতে। তা পূরণ হওয়া নিয়ে সংশয় আছে।
অনুপমের মতে, বর্তমানে পাইপের গ্যাস নিতে প্রথমেই ৬৩৫৪ টাকা দিতে হয়। তা অনেকের কাছেই সমস্যার। তাই জানুয়ারি থেকে দু’তিনটি প্রকল্প আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একটিতে দিনে ১ টাকা করে গ্রাহকদের থেকে নেওয়া হবে। প্রথমে ৩৫৪ টাকা দিতে হবে। অন্যটিতে প্রথমে ১৩৫৪ টাকা দিতে হবে। বাকিটা ছয় বা ১২ কিস্তিতে।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের অবশ্য মত, কোনও কিছু প্রথম শুরু করতে গেলে সমস্যা থাকেই। তথ্য বলছে, দেশে মোট গ্যাস ব্যবহারকারীর ২০-২৫ শতাংশের বেশি পাইপের সংযোগ নেন না। ফলে এখনই নেতিবাচক ভাবনার কিছু নেই। অন্য অংশের বক্তব্য, বৃহত্তর কলকাতায় প্রথম পাইপে গ্যাসের প্রকল্পে রাজ্যের সক্রিয় ভাবে এগিয়ে আসা উচিত ছিল। তবে এ নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি বেঙ্গল গ্যাসের কর্তারা।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে