Nationalized Bank

ব্যাঙ্কের লোকসানে প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রও

গত অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ক্ষতি গুনেছে। আর তাতেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৮ ০৩:২২
Share:

লাফিয়ে বাড়ছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের লোকসানের অঙ্ক। লাভের মুখ যারা দেখছে, তাদেরও আগের থেকে কমছে সেই পরিমাণ।

Advertisement

গত অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ক্ষতি গুনেছে। আর তাতেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। জানুয়ারি থেকে মার্চ— এই তিন মাসে ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক, এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক, ইউকো ব্যাঙ্ক, কানাড়া ব্যাঙ্ক, দেনা ব্যাঙ্ক ও ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অব কমার্সের মোট লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫,৯৬২ কোটি টাকা।

অর্থ মন্ত্রকের কর্তারাও মানছেন, এই ক্ষতি বেশ উদ্বেগজনক। কারণ গত অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকেও ২১টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের লোকসান করেছিল মোট ১৮,০৯৭ কোটি। সব ব্যাঙ্কই যে লোকসানের মুখ দেখেছিল, তা নয়। কিন্তু সব মিলিয়ে সেই ক্ষতির পরিমাণটাই তার আগের তিন মাসের তুলনায় প্রায় সাড়ে চার গুণ বেশি ছিল। এ বার জানুয়ারি-মার্চে দেখা যাচ্ছে, মাত্র ছ’টি ব্যাঙ্কের লোকসানের পরিমাণই প্রায় তার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে।

Advertisement

মন্ত্রকের ব্যাঙ্ক পরিষেবা দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘আগামী মঙ্গলবার পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের (পিএনবি) আর্থিক ফলাফল প্রকাশ হবে। নীরব মোদী প্রতারণা কাণ্ডে খবরের শিরোনামে থাকা পিএনবি-র ব্যালান্স শিটের অবস্থা কেমন, তা নিয়ে কৌতুহল তুঙ্গে। মঙ্গলবার এমনিতেই কর্নাটকের ভোটের ফলাফল। সব মিলিয়ে শেয়ার বাজারে কী প্রভাব পড়বে, তা চিন্তার বিষয়।’’

কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা আজ অভিযোগ তুলেছেন, ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের অবস্থা বিপজ্জনক। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমাদের সহজ প্রশ্ন, মানুষের টাকা কি সুরক্ষিত? আর অচ্ছে দিনের কী হল?’’

কেন এত লোকসানে পড়ছে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি?

অর্থ মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, অনুৎপাদক সম্পদ বা ঋণ খেলাপের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে গিয়েই মুশকিলে পড়ছে ব্যাঙ্কগুলি। আগে ব্যাঙ্কগুলি ঋণ খেলাপের ক্ষেত্রে তা ঢেলে সাজিয়ে শোধ করার নানা রকম সুযোগ দিত। কিন্তু ফেব্রুয়ারি থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এ রকম ছ’টি প্রকল্প বন্ধ করেছে। বন্ডের লেনদেন করতে গিয়েও লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে। কারণ সুদ বেশি গুনতে হচ্ছে তাতে। যে কারণে ব্যাঙ্কগুলিকে বন্ডে ক্ষতির জন্য অর্থ বরাদ্দ করার জন্য ১২ মাসের সময় দিয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। কিন্তু অনুৎপাদক সম্পদের জন্য সংস্থান করতেই হচ্ছে। ওই সম্পদের চাপে দেনা ব্যাঙ্কের ক্ষতির বহর এতটাই বেড়েছে যে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তাদের নতুন ঋণে নিষেধাজ্ঞাও বসিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন