কেব্‌ল টিভি ব্যবসায় নয়া মডেল

নতুন প্রযুক্তি। আর তার হাত ধরে ব্যবসার নতুন মডেল। এই দু’য়ের দৌলতে আগামী দিনে বদলাতে চলেছে কেব্‌ল টিভি পরিষেবার নক্শা। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, ব্যবসার এই নতুন মডেলে বাড়বে প্রতিযোগিতা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৫ ০২:২১
Share:

নতুন প্রযুক্তি। আর তার হাত ধরে ব্যবসার নতুন মডেল। এই দু’য়ের দৌলতে আগামী দিনে বদলাতে চলেছে কেব্‌ল টিভি পরিষেবার নক্শা। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, ব্যবসার এই নতুন মডেলে বাড়বে প্রতিযোগিতা। তাই সম্ভাবনা তৈরি হবে কেব্‌লের মাসুল কমারও।

Advertisement

এই নতুন প্রযুক্তির নাম হেড-এন্ড ইন দ্য স্কাই (হিটস)। তা ব্যবহার করে গোড়াতেই চ্যানেলগুলির কাছ থেকে তাদের সম্প্রচারিত ঘটনা বা অনুষ্ঠান (কনটেন্ট) দেখানোর পরিকাঠামো তৈরি করে রাখতে পারবে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। তারপরে তাদের কাছ থেকে আবার তা নিতে পারবে মাল্টি সিস্টেম অপারেটর (এমএসও) এবং লোকাল কেব্‌ল অপারেটররা (এলসিও)। তবে ডিজিটাল পরিষেবা (ড্যাস) দেওয়ার ছাড়পত্র থাকলে, এখনকার মতোই চ্যানেলের কাছে কনটেন্ট সরাসরি নেওয়ার মডেলও চালু রাখতে পারবে এমএসওগুলি।

সম্প্রতি হিটস প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিষেবা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে লাইসেন্স পেয়েছে হিন্দুজা গোষ্ঠীর সংস্থা গ্রান্ট ইনভেসট্রেড। তাদের দাবি, ডিজিটাল প্রযুক্তিতে চ্যানেলের কাছ থেকে কনটেন্ট নেওয়ার পরিকাঠামো গড়তে মোটা অঙ্ক লগ্নি করতে হয় এমএসও-কে যা ব্যয়সাপেক্ষ। তা ছাড়া, যে-সব এলাকায় ডিজিটাল কেব্‌ল টিভি পরিষেবা চালু হয়নি, সেখানে তা শুরু হলে ওই খরচ করতেই হবে তাদের। কিন্তু হিটস প্রযুক্তির সংস্থা থেকে কনটেন্ট নিলে সেই খরচের বড় অংশ এড়াতে পারবে এমএসও। চাইলে এমএসও-দের এড়িয়ে তাদের কাছে সরাসরি কনটেন্ট নিতে পারবে এলসিও-রা।

Advertisement

গ্রান্ট ইনভেসট্রেডের দাবি, এতে এমএসওদের কনটেন্ট পাওয়ার খরচ কমবে। সংস্থার এমডি টনি ডি’সিলভার মতে, এ ভাবে কনটেন্ট পেতে যা খরচ হবে, পরিকাঠামো গড়ে সেটি নিতে খরচ পড়ে তার প্রায় ৫-৮ গুণ। অন্য দিকে, এলসিওদের সামনে বিকল্প খুলে যাওয়ায় বাড়বে প্রতিযোগিতা। এই দু’য়ের যোগফল হিসেবে কমতে পারে গ্রাহক মাসুল। শুধু তা-ই নয়। স্থানীয় চ্যানেল দেখানো, সেট-টপ বক্স কেনার মতো বিষয়েও এলসিও-র সামনে নতুন পথ খুলবে। ডিটিএইচের তুলনায় মিলবে বেশি চ্যানেল। খারাপ আবহাওয়ায় টিভি দেখাও ব্যাহত হবে না বলে সংস্থার দাবি।

কলকাতা-সহ যেখানে ডিজিটাল কেব্‌ল চালু আছে, সেখানে এখন এই ব্যবসা চালু হচ্ছে না। বরং আগামী দেড় বছরে নতুন এলাকাকেই পাখির চোখ করছে তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন