Nirmala Sitharaman

রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে লগ্নির নির্দেশ, আশঙ্কা তবুও 

লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়ে জানালেন, চলতি অর্থবর্ষে মোট ১.৬৫ লক্ষ কোটি টাকা ঢালতে হবে সংস্থাগুলিকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি ও মুম্বই শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২০ ০৩:১৩
Share:

নির্মলা সীতারামন।

চলতি অর্থবর্ষে সঙ্কোচনের আশঙ্কা মেনে নিয়েও কেন্দ্রের দাবি, ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ দেখা যাচ্ছে দেশের অর্থনীতিতে। আর সেই অর্থনীতিকেই চাঙ্গা করতে মঙ্গলবার ২৩টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্ণধারদের দ্রুত পুঁজি বিনিয়োগের নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়ে জানালেন, চলতি অর্থবর্ষে মোট ১.৬৫ লক্ষ কোটি টাকা ঢালতে হবে সংস্থাগুলিকে। অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর দাবি করলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর এবং নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত।

Advertisement

কিন্তু একই দিনে দু’টি সমীক্ষা ঘিরে রক্তচাপ বেড়েছে। প্রথমত, খুচরো ব্যবসার সংগঠন রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (আরএআই) জানিয়েছে, জুনের দ্বিতীয়ার্ধে তাদের ক্ষেত্রে বিক্রি উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে। দ্বিতীয়ত, সিঙ্গাপুরের ব্যাঙ্কিং গোষ্ঠী ডিবিএসের সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, এপ্রিল-জুনে ভারতের অর্থনীতির সঙ্কোচনের হার পৌঁছতে পারে দুই অঙ্কে। পুরো অর্থবর্ষে সঙ্কোচন হতে পারে ৪.৮%। অর্থনীতির পরিস্থিতি নিয়ে এ দিন ফের কেন্দ্রের সমালোচনা করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। জানান, মোদী সরকারের আর্থিক ‘অব্যবস্থায়’ লক্ষ লক্ষ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ আর নীরবে এই অবস্থা মেনে নেবেন না।

সোমবার অর্থ মন্ত্রক তাদের রিপোর্টে জানিয়েছিল, অতিমারির বিপদ দ্রুত আঁচ করে ওষুধ প্রয়োগ করার জন্যই মে মাস থেকে অর্থনীতিতে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ দেখা গিয়েছে। এ দিন অর্থ প্রতিমন্ত্রী জানান, কেন্দ্রের ২১ লক্ষ কোটি টাকার আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজের বিভিন্ন প্রকল্পের দীর্ঘমেয়াদি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে জাতীয় অর্থনীতির উপরে। কান্ত জানান, ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ভোগ্যপণ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র।

Advertisement

যদিও আরএআইয়ের বক্তব্য, ১৫-৩০ জুন খুচরো ব্যবসায় বিক্রি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬৭% কমেছে। ঠিক যে সময়ে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর দাবি করছে কেন্দ্র। সংগঠনটি জানিয়েছে, জুন থেকে লকডাউনের কড়াকড়ি কমলেও শপিং মলগুলির ক্ষেত্রে সর্বত্র একই ভাবে বিধি শিথিল করা হয়নি। যার প্রভাবে মলগুলিতে বিক্রি কমেছে ৭৭%। রাস্তার পাশের দোকানের বিক্রি কমেছে তুলনায় কম, ৬২%।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন