—প্রতীকী চিত্র।
গোটা দেশ সরগরম ই-২০ পেট্রল নিয়ে। যা আসলে পেট্রলের সঙ্গে ২০% ইথানল মিশিয়ে তৈরি। জল্পনা ছড়িয়েছে, এটির ব্যবহারে গাড়ির যন্ত্রাংশ খারাপ হয়ে যেতে পারে। কমবে মাইলেজও অর্থাৎ এক লিটার জ্বালানিতে গাড়ির নির্দিষ্ট দূরত্ব অতিক্রম করার ক্ষমতা। বৃহস্পতিবার সংসদে লিখিত জবাবে দু’টি অভিযোগই উড়িয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। জানালেন, এই সব জল্পনার স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ফলে ই-২০ জ্বালানিতে চলা গাড়ির ক্ষতিপূরণের জন্য কোনও তহবিল তৈরির প্রশ্নই নেই।
এ দিন সংসদে প্রশ্ন করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। তার জবাবেই গডকড়ী জানান, এই ধরনের দাবি পুরোপুরি ভুল। বরং তিনি এক রিপোর্টের উল্লেখ করেন, যা একযোগে করেছিল ইন্ডিয়ান অয়েল, গাড়ি নির্মাতা সংস্থাগুলির সংগঠন সিয়াম এবং গবেষণাকারী অটোমোটিভ রিসার্চ ইনস্টিটিউট। তাঁর দাবি, সেখানেও এই জ্বালানির ব্যবহারে মাইলেজ কম হওয়া কিংবা যন্ত্রাংশ খারাপ হওয়ার প্রমাণ মেলেনি। ই-২০ পেট্রলের পক্ষে সওয়াল করে মন্ত্রীর দাবি, এটি পরিবেশবান্ধব। ফলে সরকারও চায় এর ব্যবহার বাড়ুক। একই সঙ্গে গডকড়ীর এটাও দাবি, ‘‘মাইলেজ মূলত নির্ভর করে কত গতিতে গাড়ি চালানো হচ্ছে, রাস্তা এবং টায়ারের পরিস্থিতি, চাকার অ্যালাইনমেন্ট ও প্রেসার প্রভৃতির উপর।’’
উল্লেখ্য, বেশ কিছু দিন ধরেই গাড়ির মালিকেরা ইথানল মিশ্রিত পেট্রলের বিরুদ্ধে সমাজ মাধ্যমে নানা রকম অভিযোগ করছেন। সাধারণ পেট্রলের চেয়ে এই জ্বালানি সাশ্রয়ী নয় বলেও দাবি তাঁদের। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, যে রিপোর্টের উল্লেখ করে এ দিন অভিযোগ খণ্ডন করেছেন গডকড়ী, তাতে আপাতত এই বিতর্কের অবসান ঘটতে পারে।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে