Murder Case

বাড়িতেই স্বামীকে কুপিয়ে খুন, গ্রেফতার স্ত্রী

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার রাতে অশোক বাড়ি ফেরেন। তার পরে সেই রাতেই সম্ভবত খুন হন তিনি। অশোককে সর্বাণী ওই রাতেই স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৯:৪৩
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

বাড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে এক যুবকের মৃতদেহ। মঙ্গলবার রাতে, মুচিপাড়া থানা এলাকার শশিভূষণ দে স্ট্রিটে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম অশোককুমার দাস (৪৮)। এই ঘটনায় মৃতের স্ত্রী সর্বাণী দাসকে প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার করা হয়েছে। শশিভূষণ দে স্ট্রিটের ওই বাড়িতে অশোক তাঁর স্ত্রী এবং ছেলেকে নিয়ে থাকতেন। পুলিশের দাবি, জেরার মুখে সর্বাণী খুনের কথা স্বীকার করে দাবি করেছে, অশোককে সে মেরে ফেলতে চায়নি। কিন্তু ঠিক কী কারণে এই ঘটনা, সে সম্পর্কে পুলিশ এখনও অন্ধকারে। ওই দম্পতির ছেলেকে একটি হোমে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার রাতে অশোক বাড়ি ফেরেন। তার পরে সেই রাতেই সম্ভবত খুন হন তিনি। অশোককে সর্বাণী ওই রাতেই স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেই হাসপাতাল অশোককে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দিতে বলে। অভিযোগ, সে কথা শুনে সর্বাণী অশোককে বাড়িতে ফিরিয়ে আনে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে বাড়ি থেকে অশোককে উদ্ধার করে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। বাড়ির মধ্যে ঢুকে অশোককে কে বা কারা, কী উদ্দেশ্যে খুন করল, সেটাই তখন ভাবাচ্ছিল তদন্তকারীদের। খুনি বাড়ির কেউ, না কি বাইরের লোক, সেটাও ছিল রহস্য।

তদন্তে পুলিশের অনুমান, ঘটনাটি মঙ্গলবার রাত ১১টা থেকে ১১টা ৫৫ মিনিটের মধ্যে ঘটেছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, ধারালো কোনও অস্ত্র দিয়ে কোপানোহয়েছিল অশোককে। যার জেরে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রটিও উদ্ধার করেছেবলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ঠিক কী ঘটেছিল, তা জানতে অশোকের স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। পরে গ্রেফতার করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, দোতলার যে ঘরে অশোক থাকতেন, সেটি সিল করে দিয়েছে পুলিশ। নীচের ঘরগুলিতে ভাড়াটেরা থাকেন বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে, সেই সমস্ত ঘরেও এ দিন দুপুরে তালা দেওয়া ছিল। অশোকের ঘরের সামনে পাহারায় রয়েছে পুলিশ। ওই ঘরের দরজার উপরেই রয়েছে সিসি ক্যামেরা। তার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, অশোক ছোটখাটো কোনও ব্যবসা করতেন। তবে, এর বেশি কিছু বলতে চাননি কেউ। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু জিনিস উদ্ধার করেছেন তদন্তকারী অফিসারেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন