গরিবের বন্ধু। এই ভাবমূর্তিতে শান দিয়েই ভোট জয়ের রথ গড়গড়িয়ে এগোচ্ছে বলে মনে করছে মোদী সরকার। স্যুট-বুটের সরকারের অভিযোগ যাতে আর নতুন করে না-ওঠে, তা নিশ্চিত করতে মরিয়া তারা। এতটাই যে, তার জন্য খেলাপি ঋণের সমস্যার সমাধান খুঁজতে গিয়েও কেন্দ্র সাবধানী। লক্ষ্য, কর্পোরেট সংস্থার ঋণ মকুবের অভিযোগ যাতে না-ওঠে।
২০১৬ সালের শেষে খেলাপি ঋণের অঙ্ক ছিল ৬.০৬ লক্ষ কোটি টাকা। বুধবার অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির দাবি, খেলাপি ঋণের অঙ্ক এখনও বাড়ছে। কিন্তু জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে কমেছে তার বৃদ্ধির হার। অর্থনীতি বলে, যাঁরা ইচ্ছে করে ধার শোধ করেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। কিন্তু তেমনই পুরো বিষয়টির দীর্ঘমেয়াদি সমাধান খোঁজা প্রয়োজন। তবে সরকারের একটি বড় অংশের আশঙ্কা, তেমন কোনও পদক্ষেপ করলে ধনী শিল্পপতিদের ঋণ মকুব করা হচ্ছে বলে ভুল বার্তা যেতে পারে।
একই সঙ্গে, প্রস্তাব উঠেছিল সমস্ত অনুৎপাদক সম্পদকে এক ছাতার তলায় এনে তৈরি হোক একটি ব্যাঙ্ক (ব্যাড ব্যাঙ্ক)। সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির হিসেবের খাতা থেকে অনুৎপাদক সম্পদ মুছে যাবে। চলে যাবে নতুন ব্যাঙ্কের খাতায়। কিন্তু সেই ঝুঁকি নিতে কেন্দ্র নারাজ।