আগে বহু বার বলেছেন। সোমবার সংসদে বাজেট অতিরিক্ত বরাদ্দ বিতর্কেও অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ফের দাবি করলেন, রাজকোষ ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ভাঁড়ারের ভাগ দরকার নেই। বরং দারিদ্র দূর করতে ও ব্যাঙ্কে পুঁজি জোগাতে ব্যবহার করা যায় ওই অর্থ। কিন্তু একই সঙ্গে বিতর্ক উস্কে তিনি ফের মনে করান, অন্য বহু দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের তুলনায় আরবিআই ভাঁড়ারে বাড়তি অর্থ মজুত রাখে। আর বিজেপির সাংসদ অনুরাগ ঠাকুরের অভিযোগ, এটা দেশের অর্থনীতিতে শীর্ষ ব্যাঙ্কর হানা। আরবিআইয়ের ওই বাড়তি ভাঁড়ারের ভাগ পেতে কেন্দ্রের দাবিকে এত দিন যে ‘হানা’র তকমা দিয়েছেন বিরোধীরা।
সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, ওই ভাঁড়ারের প্রয়োজন যদি কেন্দ্রের না-ই থাকে, তবে এই তোপ দাগা কেন?
এ দিনের বিতর্কে কংগ্রেস অংশ না নিলেও তৃণমূল কংগ্রেস, সপা, বিজেডি-সহ বিরোধীরা ভাঁড়ার ভাগের প্রসঙ্গে ফের একহাত নিয়েছে কেন্দ্রকে। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের দাবি, তহবিলের ভাগ নিয়ে কেন্দ্রের দাবিতে আপত্তি জানানোয় গভর্নর পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয়েছে উর্জিত পটেলকে। তাঁর কটাক্ষ, জেটলি প্রধানমন্ত্রীর পাশে রয়েছেন। কারণ মোদীকে বাঁচানোই তাঁর কাজ। সৌগতবাবুর প্রশ্ন, যাঁকে বাঁচানোই যায় না, তাঁকে কী করে কেউ বাঁচাবে?
বাড়তি ভাঁড়ারের ভাগ পেতে কেন্দ্র রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উপর চাপ সৃষ্টি করছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, জেটলি এ দিন ফের তা নস্যাৎ করেন। অনুরাগেরও দাবি, দেশের অর্থনীতি মজবুত। ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে। বরং নগদ জোগানের অভাবে বহু পরিকাঠামো প্রকল্প আটকে। যে জোগান নিয়ে শীর্ষ ব্যাঙ্ককেই কাঠগড়ায় তোলে তারা।
এ দিন অতিরিক্ত ৮৫,৯৪৮ কোটি টাকার বরাদ্দে সায় দেয় সংসদ। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে মূলধন জোগাতে ৪১ হাজার কোটি ও এয়ার ইন্ডিয়ার জন্য ২,৩৪৫ কোটি টাকা খরচ হবে।