NPA

NPA: অনুৎপাদক সম্পদ নিয়ে ভয় থাকছেই

অর্থনীতির পক্ষে ইতিবাচক বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ। তবু আশঙ্কা যাচ্ছে না খোদ ব্যাঙ্কিং বিশেষজ্ঞদেরই।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২১ ০৭:০৬
Share:

মোদী সরকার সংসদে দাবি করেছে, দেশের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিতে তিন বছর ধরে টানা কমছে অনুৎপাদক সম্পদ (এনপিএ)। ২০১৯-২০ সালের চেয়ে গত অর্থবর্ষে (২০২০-২১) তা কমেছে ৬১,১৮০ কোটি টাকা। অর্থ প্রতিমন্ত্রী ভগবত কারাড বলেছেন, সরকারের নানা পদক্ষেপেই এটা সম্ভব হয়েছে। করোনায় ব্যবসা-বাণিজ্যের বিপর্যস্ত অবস্থা ও বহু মানুষের তীব্র আর্থিক সঙ্কটের মধ্যেও ব্যাঙ্কের ঘাড় থেকে আর্থিক বোঝা কমানোর ধারাবাহিকতা বজায় রাখা অর্থনীতির পক্ষে ইতিবাচক বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ। তবু আশঙ্কা যাচ্ছে না খোদ ব্যাঙ্কিং বিশেষজ্ঞদেরই।

Advertisement

তাঁদের অনেকেই বলছেন, অর্থনীতির ঘুরে না-দাঁড়ানো পর্যন্ত এই তথ্যে স্বস্তি পাওয়ার যুক্তি নেই। কারণ এনপিএ-র বিপুল ভার থেকে ব্যাঙ্কের রেহাই পাওয়া ততদিন কঠিন, যতদিন না শিল্পের চাকা ঘুরছে। রুজি-রোজগার ফিরছে। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম (এপ্রিল-জুন) ত্রৈমাসিকে কিছু ব্যাঙ্কের ওই বোঝা বৃদ্ধির হিসেব থেকেই তা স্পষ্ট। তাঁদের আশঙ্কা, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় জুলাই-সেপ্টেম্বরেও অনাদায়ি ঋণ ফের বাড়তে পারে।

সোমবার কারাড জানান, ২০১৪-১৫ সালে ব্যাঙ্কগুলির এনপিএ ছিল ৩,২৩,৪৬৪ কোটি টাকা। তা ২০১৭-১৮ সালে হয় ১০,৩৬,১৮৭ কোটি। এর মধ্যে শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতেই ছিল ৮,৯৫,৬০১ কোটি টাকা। ফলে সে সময় বহু ব্যাঙ্ক লোকসানের মুখে পড়ে। কিন্তু তার পর থেকে এই সম্পদের বহর কমায় গত অর্থবর্ষ থেকে ব্যাঙ্কগুলি মুনাফার মুখ দেখছে।

Advertisement

ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিএমডি দেবব্রত সরকারের মতে, ‘‘ইতিমধ্যেই যে সব ব্যাঙ্কে প্রথম ত্রৈমাসিকের ফল বেরিয়েছে, দেখা গিয়েছে অনেকেরই অনুৎপাদক সম্পদ কিছুটা বেড়েছে।’’ আরও অনেকের তা বৃদ্ধির আশঙ্কা আছে বলে মত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্টেট ব্যাঙ্কের এক প্রাক্তন কর্তার। দু’জনেরই সতর্কবার্তা, ব্যাঙ্কের মুনাফা থেকে অর্থ সরিয়ে বা অনেক ক্ষেত্রে বকেয়া ঋণ হিসেবের খাতা থেকে মুছে (রাইট অফ) কমানো হয়েছে ওই বোঝা। যেমন, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক গত তিন মাসে হিসেবের খাতা থেকে ৩১০০ কোটির এনপিএ মুছেছে।

দেবব্রতবাবুর মতে, কিছু ক্ষেত্রে দেউলিয়া আইনের সাহায্যে ধারের একাংশ ছেড়েও (হেয়ারকাট) অনাদায়ি ঋণ মকুব হচ্ছে। অর্থাৎ আর্থিক ক্ষতিই মেনে নিচ্ছে ব্যাঙ্কগুলি। ব্যাঙ্কিং শিল্পের দাবি, ক্ষতি সওয়ার সীমা আছে। ফলে এতে স্বস্তি পাওয়ার কারণ নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন