সূচনা: লেনদেনের উদ্বোধনে জেটলি। নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।
অপশন লেনদেনের হাত ধরে দেশে সোনা কেনা-বেচার নির্দিষ্ট কাঠামো তৈরি হবে। তার দৌলতে বদলাবে ব্যবসার ধরনও। মঙ্গলবার ধনতেরসে পণ্য বাজার এমসিএক্সে সোনার অপশন লেনদেন উদ্বোধন করে এই আশা প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। প্রসঙ্গত, এ দিনই দেশে প্রথম চালু হল সোনার অপশন লেনদেন।
জেটলি বলেন, এই অপশন লেনদেন চালু একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। কারণ, এর মাধ্যমে আগাম বাজারে ধাতুটি কেনা-বেচার হাত ধরে সোনার দামের ওঠা-পড়ার ঝুঁকি এড়ানো যাবে। পাশাপাশি, হলুদ ধাতুটিতে লেনদেনের একটি নির্দিষ্ট কাঠামো তৈরি হলে উপকৃত হবেন ক্রেতা, গয়না ব্যবসায়ীরা। লগ্নিকারীদের কাছেও সোনায় নতুন বিনিয়োগের পথ খুলবে। চিনের পরেই ভারতে সোনার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। সেই অবস্থায় অপশন লেনদেন জনপ্রিয় হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন জেটলি।
কাকে বলে?
ভবিষ্যতে নির্দিষ্ট দিনে এবং নির্দিষ্ট দামে পণ্য (যেমন, সোনা) কিনতে বা বেচতে চুক্তি করেন লগ্নিকারী।
চুক্তির সময়ে আগাম দিতে হয় দামের একটা অংশ।
যদি পণ্য কিনতে চুক্তি করেন, তা হলে মেয়াদ শেষে দাম বাড়লে লগ্নিকারীর লাভ।
দর কমলে হারাতে হয় আগাম জমা টাকাই। ফিউচার ট্রেডিং-এর মতো পণ্য বাধ্যতামূলক ভাবে হাতে নিতে হয় না (অন্তত সোনার ক্ষেত্রে)।
আর পণ্য বিক্রি করার জন্য চুক্তি করলে, পরে দাম কমলে লগ্নিকারীর লাভ হয়।
মঙ্গলবার এমসিএক্স কর্তৃপক্ষের দাবি, তিন-ছ’মাস সোনায় অপশন লেনদেনের হাল হকিকৎ খতিয়ে দেখা হবে। তার পরে অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। এমসিএক্সের এমডি-সিইও মৃগাঙ্ক পরাঞ্জপে বলেন, সোনায় লেনদেন জনপ্রিয় করে তুলতে বিভিন্ন ব্যবস্থাও নিচ্ছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, ভারতে আগাম বাজারে লেনদেনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কাঠামো তৈরি করতে নীতি আয়োগের অধীনে কমিটি তৈরি করা হয়েছে। একই ভাবে দেশে সোনার বাজারকে ঢেলে সাজতে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা খতিয়ে দেখছে অর্থ মন্ত্রকের কমিটিও।