—প্রতীকী ছবি।
‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ভারতের হাতে মার খাওয়ায় পাকিস্তানের শেয়ার বাজারে হাহাকার। সাত শতাংশের বেশি নামল স্টকের সূচক। ফলে করাচির বাজার বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে ইসলামাবাদ। এতে লক্ষ্মীবারে লগ্নিকারীদের মাথায় পড়েছে হাত। ভারতের সঙ্গে পুরদস্তুর যুদ্ধের আশঙ্কা বজায় থাকলে পরিস্থিতি যে বদলাবে না, তা একরকম নিশ্চিত আর্থিক বিশ্লেষক থেকে শুরু করে বিশ্বের তাবড় ব্রোকারেজ ফার্ম।
বৃহস্পতিবার, ৮ মে বাজার খোলার সময়ে করাচি স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ার সূচকে ইতিবাচক ইঙ্গিত লক্ষ্য করা গিয়েছিল। কিন্তু বেলা গড়াতেই কেএসই-১০০ দ্রুত গতিতে নামতে থাকে। ফলে চোখের নিমিষে বাজার থেকে উধাও হয়ে যায় কয়েক কোটি টাকা। এই পরিস্থিতিতে রক্তক্ষরণ ঠেকাতে লেনদেন বন্ধ করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
পাক ব্রোকারেজ ফার্মগুলির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শেষ দু’টি ট্রেডিং সেশনে কেএসই-১০০তে ১০ শতাংশের পতন দেখা গিয়েছিল। করাচি স্টক এক্সচেঞ্জের ইতিহাস যা এর আগে কখনও হয়নি। লক্ষ্মীবারেও সূচক ফের একবার সেই দিকে ছুটতে থাকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন লগ্নিকারীরা। ফলে দ্রুত শেয়ার বিক্রির দিকে মন দেন তাঁরা।
এ দিন স্থানীয় সময় দুপুর ১টার মধ্যে করাচি স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক ছ’হাজার পয়েন্ট পড়ে যায়। বাজার বন্ধ করার সময়ে সেটি দাঁড়িয়েছিল ১,০৪,০৮৭ পয়েন্টে। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডারের (ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড বা আইএমএফ) থেকে ইসলামাবাদের ঋণ বাবদ অর্থ পাওয়ার কথা রয়েছে। সেই টাকা হাতে না পেলে পাক অর্থনীতি যে ভেঙে পড়বে, তা এক রকম নিশ্চিত। করাচির শেয়ার বাজারের লগ্নিকারীরা আপাতত সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন, দাবি বিশ্লেষকদের।
বুধবার, ৭ মে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের (পাক অকুপায়েড জম্মু-কাশ্মীর বা পিওজেকে) ন’টি জায়গায় হামলা চালিয়ে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় ফৌজ। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই করাচি বাজারের সূচক খাদের দিকে দৌড়তে শুরু করে। ফলে দিন শেষে কেএসই-১০০ নেমেছিল ৩,৫৫৯ পয়েন্ট।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈশরণ উপত্যকায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হামলায় প্রাণ হারান পর্যটক-সহ মোট ২৬ জন। ওই ঘটনার পরই বদলা নেওয়ার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। এর পর থেকে ‘ভালুক আঁচড়ে’ ক্ষতবিক্ষত হচ্ছিল করাচির বাজার।