সরকারি কর্মচারী ও সংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের করমুক্ত গ্র্যাচুইটির অঙ্ক ১০ লক্ষ থেকে বেড়ে এ বার হবে ২০ লক্ষ টাকা। মাতৃত্বকালীন ছুটিও এখন থেকে ১২ সপ্তাহের বদলে মিলবে ২৬ সপ্তাহ।
এ জন্য নরেন্দ্র মোদী সরকারের শ্রম মন্ত্রক সংসদে ‘পেমেন্ট অব গ্র্যাচুইটি (সংশোধনী) বিল’ পাশ করিয়েছে। লোকসভার পরে আজ রাজ্যসভাতেও কোনও আলোচনা ছাড়াই এই বিল ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে কেন্দ্রীয় সরকার এ বার নির্দেশিকা জারি করে গ্র্যাচুইটিতে করছাড়ের সীমা ১০ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ লক্ষ টাকা করতে পারবে। প্রসঙ্গত, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু সব রাজনৈতিক দলের কাছে বিলটি বিনা বাধায় পাশ করানোর আর্জি জানান। কারণ, অর্থবর্ষের শেষ দিন ৩১ মার্চের মধ্যেই এটি পাশ করানো জরুরি ছিল।
সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হওয়ার পরে কেন্দ্রীয় কর্মীদের করমুক্ত গ্র্যাচুইটির সীমাও ১০ লক্ষ টাকা থেকে বেড়ে ২০ লক্ষ টাকা হয়েছে। ফলে সংগঠিত ক্ষেত্রের অন্য কর্মীদেরও একই সুবিধা দেওয়া দরকার ছিল। ভবিষ্যতে বেবেতন বাড়লেও সরকারকে আর আইন বদল করতে হবে না। নির্দেশিকা জারি করেই করছাড়ের সীমা বাড়িয়ে দেওয়া যাবে। মাতৃত্বকালীন সুবিধা আইনও সংশোধন করে তা ১২ সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে ২৬ সপ্তাহ করা হয়েছে। ফলে সেই অনুযায়ী গ্র্যাচুইটি আইনেও সংশোধন করা দরকার ছিল।
দু’একটি ক্ষেত্র বাদ দিলে পাঁচ বছর বা তার বেশি সময় একটানা কাজ করলেই গ্র্যাচুইটি মেলে। প্রতি বছরের জন্য ১৫ দিনের বেতনকে কেউ যত বছর কাজ করেছেন তা দিয়ে গুণ করে গ্র্যাচুইটির হিসেব কষা হয়। কোনও সংস্থা অবশ্য চাইলে তার বেশিও দিতে পারে। এখানে ২৬ দিনে এক মাস ধরা হয়। এত দিন এর মধ্যে ১০ লক্ষ টাকা করমুক্ত ছিল। এ বার ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর দিতে হবে না।
সরকারি সূত্রের বক্তব্য, শীঘ্রই যাঁরা অবসর নেবেন, তাঁরা যে সকলেই এর ফলে লাভবান হবেন, তা নয়। মূলত যাঁরা যথেষ্ট বেশি বেতন পান, তাঁরাই এই সুবিধা পাবেন। কারণ ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গ্র্যাচুইটি পাওয়ার মতো মূল বেতন খুব কম কর্মীই পান।