আর্থিক সমস্যার মুখে আরও এক কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা পবন হংস। সূত্রের খবর, বহু রাজ্যের কাছ থেকে পাওনা টাকা না মেলায় তৈরি হয়েছে চাপ। মে মাসে সংস্থার কর্মীদের একাংশের বেতন অনিশ্চিত। যদিও কর্তৃপক্ষের একাংশের দাবি, আদতে খরচ কমানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কমানো হচ্ছে ওভারটাইমের টাকা। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের বলা হয়েছে বকেয়া টাকা জোগাড় করে আনতে। তবে বেতন মিলতে যে কিছুটা দেরি হতে পারে তা স্বীকার করা হয়েছে।
হেলিকপ্টার ভাড়া দেয় পবন হংস। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ওএনজিসি তাদের সবচেয়ে বড় গ্রাহক। ভাড়া নেয় বিভিন্ন রাজ্যও। পাইলট, রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্ব সংস্থার। এক কর্তার কথায়, ‘‘এখন নির্বাচন চলছে। ফলে রাজ্যগুলির কাছ থেকে টাকা পাওয়া কঠিন হয়ে গিয়েছে।’’ তিনি আরও জানান, সব মিলিয়ে আয়ের চেয়ে বেশি ব্যয় হচ্ছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে খরচ কমানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সংস্থার একটি সূত্র জানাচ্ছে, গত অর্থবর্ষ থেকে লোকসানের মুখে পড়ে পবন হংস। এই মুহূর্তে পরিস্থিতি এমনই যে, সময় মতো কর্মীদের বেতন হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। স্বাভাবিক ভাবেই কর্মীরা ক্ষুব্ধ। সিবিআইয়ের হস্তক্ষেপ চাওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
দিল্লি থেকে সংস্থার এক কর্তা অবশ্য বলছেন, ‘‘কর্মীদের বেতন আটকানো হচ্ছে না। তবে একাংশের গা-ছাড়া মনোভাবের জন্য বিভিন্ন রাজ্য থেকে সময় মতো টাকা এসে পৌঁছয়নি। সেই কর্মীদের চিহ্নিত করে বলা হয়েছে অবিলম্বে টাকা জোগাড় করে আনতে। না হলে তাঁদের বেতন পেতে সমস্যা হবে।’’ কর্তাটি জানিয়েছেন, এই কর্মীদের বেতন পেতে দিন দশেক দেরিও হতে পারে। অন্য একটি সূত্রের খবর, এখন থেকে কর্মীদের কাজের মূল্যায়ন করা হবে। সেই অনুযায়ী বেতন হেরফের
হতে পারে।
বিপুল লোকসানের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়াকে বিক্রি করার চেষ্টা করেছিল কেন্দ্র। একই চেষ্টা হয়েছিল পবন হংসের ক্ষেত্রেও। কিন্তু দু’টি ক্ষেত্রেই এখনও পর্যন্ত অসফল কেন্দ্র। তাই আপাতত নেওয়া হয়েছে খরচ কমানোর কৌশল।